২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করা হয়। এখন কেন্দ্রশাসিত কাশ্মীরে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রথমে বিধানসভা কেন্দ্রগুলির সীমারেখা নতুন করে টানা দরকার। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছে ডিলিমিটেশন কমিশন। কিন্তু ২০১৯ সালের জম্মু-কাশ্মীর রি-অর্গানাইজেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার সীমারেখা নির্ধারণ করার কথা নির্বাচন কমিশনের। বাস্তবে কে সীমারেখা নির্ধারণ করবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর রি-অর্গানাইজেশন অ্যাক্ট তৈরির সাত মাস পরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক তিন সদস্যের ডি-লিমিটেশন কমিশন গঠন করে। তার শীর্ষে আছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা দেশাই। এদিকে নতুন ডি-লিমিটেশন কমিশনের সদস্য হিসাবে আছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।
নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন আইনি উপদেষ্টা এস কে মেন্দিরাত্তা বলেন, “ডিলিমিটেশন কমিশন তৈরি করেছে আইনমন্ত্রক। আইনের ব্যাপারটা তারাই সবচেয়ে ভাল জানে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর রি অর্গানাইজেশন অ্যাক্টের ৬০ ও ৬৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের ৯০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা নির্বাচন কমিশনের কাজ।”
একইসঙ্গে ওই আইনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে প্রথম জনগণনার পরে ডিলিমিটেশন কমিশন ইচ্ছা করলে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে পারে। জম্মু-কাশ্মীরে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে ডিলিমিটেশন কমিশন। তারা বিভিন্ন জেলা কমিশনার ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। জম্মু-কাশ্মীরে চার দিনের সফরে কমিশন প্রায় ৮০০ জনের সঙ্গে দেখা করে ডিলিমিটেশন নিয়ে তাঁদের পরামর্শ চেয়েছে।