২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজকোষে অর্থের আমদানি জন্য অর্থাৎ তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি নতুন পথের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যার নাম ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’। রবিবার তারই সূচনা করেছেন তিনি। আজ কেন্দ্রের এই আর্থিক নীতিরই সমালোচনা করল তৃণমূল। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী সরকারের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তুলনা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, ‘রেল পরিষেবায় এই সরকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের মতো সবকিছু বেসরকারিকরণ করতে চলেছে। চার বছরে চারশো রেল স্টেশন, ৯০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, চারটি পার্বত্য রেল পরিষেবা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে। এইভাবে ঢালাও আর্থিক সংস্কারের বিষয়ে তারা কিন্তু নির্বাচনের আগে বলেনি। এতে জনগণের কোনও সায় নেই। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।’
সুখেন্দুশেখর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সমস্ত সরকারি সম্পত্তি বেসরকারিকরণের এটা প্রথম ধাপ। জনগণের বা সরকারি সম্পত্তিকে লিজ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে পঁচিশ থেকে তিরিশ বছর ও পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও পঁচিশ থেকে তিরিশ বছর করে লিজহোল্ড নবীকরণ করা যাবে। ফলে আজীবনকালের জন্য বেসরকারি হাতে চলে যাবে। কী কী বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার তার একটি তালিকাও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, জাতীয় সড়কের ২৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার রাস্তা, ৪০০টি রেল স্টেশন, ১৫০টি ট্রেন, ৪২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন, পাওয়ার সেক্টর, চার হাজার কিলোমিটার অয়েল পাইপ লাইন, বিএসএনএল/এমটিএনএল-এর লাইন, ১৬০টি কোল মাইনিং প্রকল্প, ২১টি বিমান বন্দর ও বন্দর সব কিছু বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রশ্ন তুলে তৃণমূল সাংসদ বলেন, চার বছর পর যে সরকার থাকবে না তারা এ ভাবে সব কিছু বেচ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কী ভাবে?