বেশ কয়েকদিন পর দেশে অনেকটাই নিম্নমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৭২ জন। কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৯ জন। আর একদিনে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ হাজার ১৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৪৩ জন দেশবাসীর টিকাকরণ হওয়ায় এ নিয়ে দেশে মোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ২৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৯৫।
দেশে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ কমার মাঝেও সতর্কবার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে শীর্ষে উঠবে তৃতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ। অর্থাৎ তৃতীয় ঢেউ থেকে সতর্ক থাকতে প্রায় মাস দেড়েক আগেই জারি হচ্ছে সতর্কতা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই মুহূর্তে দেশে কমেছে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা।
যদিও এরই মধ্যে সুখবর শুনিয়েছে জাইডাস-ক্যাডিলা। কমবয়সিদের জন্য তাদের তৈরি সূঁচবিহীন করোনা টিকা উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। অক্টোবরের মধ্যে ১ কোটি টিকা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এই সংস্থা। তারপর হয়ত ছোটদের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র মিলবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯২৪ জন অ্য়াকটিভ রোগী। তৃতীয় ধাক্কা সামলাতে বহু রাজ্য নতুন করে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এ রাজ্যেও চলছে কোভিড বিধি। টিকাকরণে গতি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহ না হওয়ায় গতি খানিকটা শ্লথ। আর মহামারীর তৃতীয় ধাক্কা সামলানোর জন্য সেটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হয়ে উঠছে।