উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দাবিতে ফের এদিন জোরালো সওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে দ্রুত উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করুক কমিশন।’ বাংলা কোভিড সংক্রমণ কমায় এই মুহূর্তে উপনির্বাচনের জন্য রাজ্য প্রস্তুত রয়েছে বলেই এদিন ইঙ্গিত দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে তাঁদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিদেরও নির্বাচিত হওয়ার অধিকার রয়েছে। আর সেই কারণেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা উচিত কমিশনের। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন মমতা বলেন, ‘ইতিমধ্যেই চার মাস হয়ে গিয়েছে। কমিশনের তরফে থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের থেকে মতামতা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আশা করব ৩০ অগাস্টের মধ্যে তা সকলেই জানিয়ে দেবেন।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘যে যে অঞ্চলে নির্বাচন হবে, সেখানে কোভিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া এই নির্বাচন তো মাত্র এক দিনের, লম্বা সময় ধরে তো হবে না।’
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারির পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত চায় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সচিব অজয় কুমার ভর্মা রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। প্রত্যেক দলের থেকে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কমিশন সচিব উল্লেখ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন সহ বেশ কিছু উপনির্বাচনও স্থগিত রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাতটি কেন্দ্রে নির্বাচন চাইছে রাজ্য সরকার। দু’টি কেন্দ্রের প্রার্থী মৃত্যুর কারণে নির্বাচন করা হবে। বাকি পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে পুজোর আগেই রাজ্যে পুরসভার ভোট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগেই অবশ্য রাজ্যের সাত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। কোভিড আবহে কালে দু’দফায় ভোট করা যায় কি না, তা নিয়েও এখন সর্বোচ্চ স্তরে আলোচনা চলছে কমিশনের অন্দরে।