টানাপোড়েনের পর কি বিচ্ছেদ হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের? সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও কার্যত সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। তারইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, হরিমোহন বাঙ্গুরের সংস্থার ভূমিকায় অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের জন্য কিছু করার ‘চেষ্টা’ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার নবান্নে ইস্টবেঙ্গল সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কে? আপনারা আমায় কেন জিজ্ঞাসা করছেন? আমি কি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চালাই? ওদের ক্লাব কর্তৃপক্ষ আছে। ওদের সঙ্গে কথা বলুন। যারা ছিল, তারা আমায় চিঠি দিয়ে জানাচ্ছে, তারা করতে পারবে না। একেবারে শেষ মুহূর্তে। এটা খুব খারাপ মনোভাব। একটা ক্লাবকে এতদিন ধরে ঝুলিয়ে শেষ মুহূর্তে বলছে, কিছু করতে পারব না। এর জন্য আমরা প্রত্যেক দুঃখিত। আমরা প্রত্যেকে বিরক্ত। তাহলে আপনারা ছ’মাস-এক বছর ধরে কথা চালালেন কেন? এমনকী আমার সঙ্গেও দেখা করে বলে গিয়েছিল, ১৬ তারিখে খুলে দেবে। তারপর এমন কী ঘটল, পিছনে কী রহস্য, যে রহস্যের জন্য ওরা বলে দিচ্ছে যে আমরা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একটা ঐতিহ্য আছে।’ সঙ্গে মমতা যোগ করেন, ‘আমরা যে বিরক্ত সেটাও জানাব। ওদের বিপদে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।’
উল্লেখ্য, স্পোর্টিং রাইটস ক্লাবকে ফিরিয়ে দিচ্ছে বিনিয়োগকারী সংস্থাটি। সেই রাইটাস ছেড়ে দেওয়ার চিঠি পৌঁছে গিয়েছে মধ্যস্থতাকারীদের হাতেও। যে চিঠির কপি চলে গিয়েছে নবান্নেও। অর্থাৎ লাল-হলুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে জোরকদমে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। ইনভেস্টররা দেখতে চাইছে চিঠি হাতে পাওয়ার পরে মধ্যস্থতাকারীরা কী উত্তর দেয়। আজ রাত অথবা আগামীকালের মধ্যে ক্লাবে চূড়ান্ত চিঠি যাবে বলেই খবর।