দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই জাতি সুমারির দাবি উঠতে শুরু করেছে। সোমবার সেই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। শুধু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বা বিরোধী দলনেতা নন। কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন সর্বভারতীয় দল ও আঞ্চলিক দল জাতি সুমারির দাবি তুলেছে। বিজেপিও এই দাবিতে সরব হয়েছে।
সোমবার এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন এ নিয়ে কিছু বলছি না। তবে সবাই যদি সহমত হয় তাহলে আমাদেরও কোনও আপত্তি নেই।” এমনিতে যখন আদমসুমারি বা জনগণনা হয় তখন তিনটি ক্যাটেগরির উপর তা করা হয়। সাধারণ, তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ ক্যাটেগরির মধ্যে যাঁরা পড়েন তাঁদের মধ্যেও অনেক জাতিগত ভাগ রয়েছে। যেমন ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ইত্যাদি। তফসিলি উপজাতিদের মধ্যেও হাজারো ভাগ রয়েছে। বিভিন্ন অংশের বক্তব্য, এই সুমারি সঠিক ভাবে না হলে সংরক্ষণের যথার্থতাই থাকবে না। দেখা যাবে যে অংশের সংরক্ষণ বেশি প্রয়োজন তারা কম পাচ্ছে। তাই মায়াবতী থেকে নীতীশ, তেজস্বী এমনকি কংগ্রেস, বিজেপিও এই দাবি তুলেছেন।
তবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নেতানেত্রীরা যখন এই দাবি তুলছেন তখন তাতে সুর না মেলালেও তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, সবাই ঐক্যমত্য হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
শেষবার জাতি সুমারি হয়েছিল ১৯৩১ সালে। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসিত ভারতে। স্বাধীনতার পর থেকে এই গণনা আর হয়নি। জাতি সুমারির পিছনে যে যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে তা হল, সংরক্ষণ সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয় না। পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা।