দিল্লীর মাটিতেই ফাইনাল খেলা হবে এবং জয়লাভ করে আসব। রবিবার সিউড়িতে বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মী সংগঠনের সম্বর্ধনা সভায় যোগ দিয়ে বিজেপি’কে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একইসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে তোপ দাগলেন কেষ্ট।
সম্প্রতি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। এই নব নির্বাচিত সভাপতিকে সম্বর্ধনা দিতেই রবিবার সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে কীর্ণাহারের বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মী সহ বিজেপি সমর্থকদের তোপ দেগে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অনুব্রত।
তিনি বলেন, – ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময় ওই এলাকায় লোডশেডিং করে দিয়েছিলেন। আরও একজন বিধানসভায় আমাদের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু কিচ্ছু করতে পারেননি। খেলায় আমরা জিতেছি। বেঙ্গলে সে খেলায় আমরা ফার্স্ট হয়েছি। এবার ২৪-শে ফাইনাল খেলা হবে। দিল্লীর মাটিতে সেই খেলা হবে। বেঙ্গল থেকে সেই খেলা খেলতে যাব। চিন্তা করবেন না, মানুষের জন্য জয়লাভ করে আসব।’
প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের ত্রিপুরা ভোট নিয়েও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অনুব্রত বলেন, – ‘বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে হয়েছে। ভেবেছিল, বাংলাতে অন্ধকার নামিয়ে আনবে। কিন্তু বাংলার মানুষ গর্জে উঠেছিল। তোমাকে বিশ্বাস করেনি। তোমরা তো পরিযায়ী পাখির মত এসেছিলে বাংলায়। এখন তৃণমূলের কর্মী-নেতারা ত্রিপুরাতে গেলে হোটেলে থাকতে দিচ্ছে না। লাইন কেটে দিচ্ছে। এটা কি রাজনীতি? দেখা হবে ২৩-শে ত্রিপুরায়।’
একুশে বাংলায় বিপুল জয়ের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের ‘পাখির চোখ’ দিল্লী। ইতিমধ্যে রাজধানীতে গিয়ে বিজেপি’কে বিরোধী জোট গঠনের সলতেতে পাক দিয়েও এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার সেই কথাই শোনা গেল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির গলায়। তবে দিল্লীতে ফাইনাল খেলার আগে ২৩-শে ত্রিপুরায় খেলা হবে বলেও জানান তিনি।