তালিবানি দাপটে কাঁপছে আফগানভূম। যাঁরা আফগানি হলেও অনেক আগেই এই শহর কলকাতাকে আপন করে নিয়েছে দেশের চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাঁদের। বর্তমানে আফগানিস্তানের এই উত্তাল সময়ে সেরকমই কিছু মানুষকে রাখি পরিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরমাতা শ্রীমতী কস্তুরী চৌধুরী।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষের বাস এই বাংলায়। তাঁদের মধ্যে আফগানিরাও রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। অর্থ উপার্জনের জন্য কাবুলিওয়ালারা বছরের পর বছর রয়েছেন এই শহরে। একইভাবে এই রাজ্যের বহু মানুষ রুজি-রুটির টানে পাড়ি জমিয়েছিলেন কাবুলিয়ালার দেশে। কেউই ভাবতে পারেননি, হঠাৎ করে এতটা অশান্ত হয়ে উঠবে আফগানভূম। কিন্তু নিমেষে কার্যত গোটা আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে। বদলে গিয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি। সে দেশে আটকে থাকা মানুষের জীবনযাপন যেমন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে, একইভাবে এই বাংলায় থাকা আফগানিদের চোখে মুখেও আতঙ্ক। প্রিয়জনদের চিন্তায় ত্রস্ত তাঁরা। এই পরিস্থিতিতি তাঁদের শান্তি ও পাশে থাকার বার্তা দিতে অভিনব রাখি বন্ধন উৎসবের আয়োজন করলেন তৃণমূল নেত্রী।
রবিবার সকালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরমাতা শ্রীমতী কস্তুরী চৌধুরীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল রাখির। আফগানিস্তানের ভয়াবহ পরিস্থিতির ছবিতে মোড়া হয়েছিল ট্যাবলো। এছাড়া ধামসা-মাদল নিয়ে পদযাত্রা করেন কস্তুরীদেবী। সেই সঙ্গে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার আফগানি ভাই ও বোনেদের হাতে রাখি বেঁধে দেন তিনি। জানা গিয়েছে, শান্তির বার্তা দিতে এদিন বিশ্বের মানচিত্রের উপর সাদা পায়রার ছবি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল রাখি। কিছু রাখিতে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এবিষয়ে কস্তুরীদেবী বলেন, ‘কাবুলের পরিস্থিতি উত্তাল। বিশ্ব জুড়ে হিংসার পরিস্থিতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলেন সম্প্রীতি ও ভালবাসা দিয়ে মানুষকে জয় করতে। সেই কারণেই আফগানি ভাই-বোনদের রাখি পরিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে’। তৃণমূলনেত্রীর উদ্যোগে আপ্লুত আফগানিরা।