পাঞ্জাবে বিজেপি চরম সঙ্কটে। আগামী বছর ভোট। তার আগে বিজেপির অন্দরে ভাঙন। একের পর এক বিজেপি নেতা ও কর্মী দলত্যাগ করছে। কেউ যোগ দিচ্ছে শিরোমণি অকালি দলে। কেউ আবার আম আদমি পার্টিতে। ২০১৭ সালের ভোটে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি যথেষ্ট ভালো ফল করেছিল। এবার তারা বিরোধী দলের স্থান পেতে চাইছে। যদিও অনেক আগে থেকেই পাঞ্জাবে এনডিএ’র যে ভরাডুবি হতে চলেছে, তা বুঝতে পেরে শিরোমণি অকালি দল বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে। জোট তো ছেড়েছেই, উল্টে এখন অকালি দলই বিজেপির সবথেকে বড় বিরোধী। মূলত কৃষি আইন এবং কৃষক আন্দোলনের জেরে বিজেপির সমর্থন যে তলানিতে সেই আভাস পেয়ে, পাঞ্জাবে দলের নেতাকর্মীরা দ্রুত দল ছাড়ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক বিধায়ক দল ছেড়ে অকালি দলে যোগ দিয়েছে। আগামী বছরের ভোটে বিজেপি চতুর্থ স্থানে নেমে আসবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাঞ্জাবে বিজেপির সমর্থন এতদিন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল অকালি দলের সঙ্গে জোট ছিল বলেই। ২০১৭ সালেও অকালি দলের সঙ্গে জোট থাকায় বিজেপি বেশ কিছু আসনে জয়ী হয়। কিন্তু এবার যেহেতু বিজেপিকে এককভাবে লড়াই করতে হবে, তাই শঙ্কা প্রবল যে দল মুখ থুবড়ে পড়বে। ফলাফল আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কার কারণ একটাই। কৃষি আইন নিয়ে মোদি সরকারের অনড় মনোভাব। পাশাপাশি কৃষকদের আন্দোলন এখনও চলছে, অথচ মোদি সরকার কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই ক্ষোভ ছড়িয়েছে সর্বত্র। শীত, গ্রীষ্মের পর এবার বর্ষাতেও কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে হাইওয়ের উপর বসে আছেন। কৃষক আন্দোলনের ইস্যুতে বিজেপির সমর্থন হ্রাসের ইঙ্গিত সাম্প্রতিক পুরসভা ভোটেই পাওয়া গিয়েছে। বিজেপি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়েছে ওই ভোটে। এবার আসন্ন বিধানসভা ভোটেও সেই একই ফল হতে চলেছে ধরে নিয়ে বিজেপিতে এখন দলত্যাগের হিড়িক।
পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিল্লিতে তলব করেছে পাঞ্জাবের রাজ্য নেতাদের। বৈঠক হয়েছে। আবার সাংগঠনিক বৈঠকও ডাকা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালের ভোটে পাঞ্জাবে বিপর্যয় হলে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের ভাবমূর্তি চরম ধাক্কা খাবে। বিশেষ করে বার্তা যাবে যে কৃষি আইনের জন্যই এই পরাজয়। ঠিক এই কারণেই আরও বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে।