জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সোমবার সকাল ১১টায় নীতীশের নেতৃত্বে বিহারের একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল মোদীর সঙ্গে দেখা করবে। সেই দলে থাকছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্য সরকারের কট্টর সমালোচক আরজেডি’র তেজস্বী যাদবও।
চলতি আগস্ট মাসের শুরুতেই নীতীশ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের তরফে জাতিগত ভিত্তিতে জনগণনার ব্যবস্থা না করা হলে বিহার নিজের মতো করেই সেই কাজ করবে। নীতীশ জানিয়েছেন, ‘জাতিগত জনগণনার দাবি নিয়ে বিহারের সমস্ত রাজনৈতিক দলের তরফে ১০ জন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাব, যে জনগণনার কাজ শুরু হতে চলেছে তা যাতে জাতিগত ভিত্তিতে করা হয়। এতে সুবিধা পাওয়া যাবে। দেশের অন্যত্রও তেমনটা হলে অনেকেই উপকৃত হবেন। কেন্দ্র আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করে, তার জন্য অপেক্ষা করব’। নীতীশের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর দল জেডিইউ কেন্দ্র সরকারের শরিক দল। তাঁদের জাতিগত জনগণনার দাবিকে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সামলাবেন, সেদিকে নজর থাকবে সকলেরই।
আসলে, ২০১১ সালের পর চলতি বছরই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা মহামারীর জেরে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী ওবিসি-দের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে। অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপিরই জোটসঙ্গী তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
অতীতের নানা ইস্যুতে ঝামেলার কারণে শিব সেনা থেকে শুরু করে অকালি দলের মতো বহু পুরনো শরিক বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে। তাই এবারে শরিক জেডিইউকে এনডিএতে ধরে রাখতে কেন্দ্র তাদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই ইস্যুকে সামনে রেখে যেভাবে তেজস্বী যাদব এবং নীতীশ কুমার একমঞ্চে চলে এসেছেন, সেটাও ভাবাচ্ছে বিজেপিকে।