বাংলায় মাসে মাসে মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দিতে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প। সেই ধাঁচেই অতিমারি পরিস্থিতিতে দেশের সব নাগরিক যাঁরা আয়কর দেন না তাঁদের পরিবার পিছু মাসিক ৭ হাজার ৫০০ টাকা দিক কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার ১৯ দলের বিরোধী জোটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে খবর সূত্রের।
সনিয়া গান্ধীর ডাকা কংগ্রেস-সহ ১৮ বিরোধী দলের বৈঠকে এ দিন যোগ দেন তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি করা যেতে পারে তা সবিস্তারে উল্লেখ করেন মমতা। তিনি জানান, সকলের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। বাতিল করতে হবে ৩ কৃষি আইন। পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের শুল্ক প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র। পেগাসাসে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হোক। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিকেন্দ্রীকরণ অনুচিত। বরং জনস্বার্থে বেসরকারি সংস্থাকে অধিগ্রহণ করতে পারে সরকার। তার পরই মমতার প্রস্তাব, দেশের কর কাঠামোর বাইরে থাকা পরিবারগুলির হাতে মাসিক ৭,৫০০ টাকা তুলে দেওয়া হোক।
ঘটনা হল, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদও মানুষের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর যুক্তি, এতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। ঘুরবে অর্থনীতির চাকা। আর ২০১৯ সালে কংগ্রেস মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ দিনের বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী স্মরণ করিয়ে দেন, ‘অতিমারি-কালে যাঁরা সঙ্কটে পড়েছেন সেই সব মানুষের হাতে নগদ দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। বিপুল সংখ্যক মহিলার ভোট গিয়েছে তৃণমূলের ইভিএমে। ২০২৪ সালের আগে মাসে মাসে পরিবার পিছু ৭৫০০ টাকার প্রতিশ্রুতি কি দিতে পারে বিরোধী জোট? তেমন আভাস এ দিন অন্তত দিলেন নেত্রী।