ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেও নিজেদের তথ্যের উপরে ভরসা রাখছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখিত ঘটনাসমূহ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি মিলেছে।
সূত্রের খবর, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ১২টি ধর্ষণের ঘটনা কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের তথ্য অনুযায়ী একটাও ঘটনা ঘটেনি। যে ২৩টি খুনের অভিযোগ রয়েছে, তার মধ্যে ১৫ জনই তৃণমূল কর্মী। উল্লেখিত ঘটনার ৩৩ শতাংশই ভোট পূর্ববতী হিংসা। বাকি ঘটনার সিংহভাগ ৫ মে-র আগের। অর্থাৎ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যখন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট থানাগুলির কাছে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই রাজ্য নিজস্ব রিপোর্ট তৈরি করেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, সিবিআই তদন্ত হলেও সরকার আত্মবিশ্বাসী। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
এদিন নবান্নে রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, আইনজীবী সঞ্জয় বসু, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বসেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। ওই বৈঠকে সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এসএসকেএম হাসপাতালে হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।