সম্প্রতি আফগানিস্তানে চলতে থাকা অশান্তি ও অস্থিরতার জেরে এবার একধাক্কায় অনেকটা কমে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা। গত সপ্তাহে করা সমীক্ষায় ৭ শতাংশ কমে গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাপ্রুভাল রেটিং। যদিও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বহু আমেরিকানই এখন মনে করছেন, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব গুণ রয়েছে কমলা হ্যারিসের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেনের জনপ্রিয়তা এই মুহূর্তে সর্বনিম্ন। রাসমুসেন রিপোর্টস-এর করা সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী বাইডেনের অ্যাপ্রুভাল রেটিং নেমে গিয়েছে ৭ রেটিং পয়েন্ট। এই মুহূর্তে প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানদের মধ্যে মাত্র ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন যে বাইডেন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য। এতদিন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ শতাংশ মানুষ মনে করছিলেন বাইডেন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য। সেটা একধাক্কায় অনেকটা কমেছে। উলটোদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অ্যাপ্রুভাল রেটিং বেড়ে হয়েছে ৪৩ শতাংশ। এই ৪৩ শতাংশ মানুষ মনে করেছে আমেরিকাকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কমলার।
পাশাপাশি, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকেই আমেরিকাকে দায়ী করছেন। প্রশ্ন উঠছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিদেশনীতি নিয়েও। প্রায় দুই দশক ধরে আফগানভূমে থাকার পর হঠাৎ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, ২০ বছরেও তালিবান সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করা, এত দীর্ঘ সময়েও আফগান সেনাকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দেওয়া, এমন নানাবিধ অভিযোগ আমেরিকার বিরুদ্ধে। অনেকে আবার আফগানিস্তানে তালিবানি উত্থানের পিছনে মার্কিন ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও তুলে ধরেছেন। সেকারণেই তলানিতে বাইডেনের জনপ্রিয়তা।
যদিও আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য নিজের উপর দায় নিতে নারাজ বাইডেন। তিনি বলছেন, “আমেরিকা গোটা বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। কিন্তু বন্দুকের নলে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করা যায় না। আফগানদের দেখাশোনার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তালিবানদেরই নিতে হবে।” যদিও বাইডেনের দাবি, তালিবান এখনও আগের মতোই গোঁড়া মানসিকতা বহন করছে।