ভোট প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যবাসীকে ‘দুয়ারে রেশন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যেই পূরণের পথে। কারণ এবার দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিতে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের গাড়ি। যেই গাড়িতে বসানো থাকবে ওজনযন্ত্র, আলো, রেশন ডিলারের বসার জায়গা, পাখা। পিছন দিক থেকে সাজানো থাকবে একাধিক ডালা। তার কোনওটাতে থাকবে চাল, কোনওটাতে ডাল, কোনওটাতে গম। আপনার বাড়ি বাড়ি এই চাল-ডাল-গমের ডালা সাজিয়েই হাজির হবে বিশেষ ধরনের এই কাস্টমাইজড গাড়ি।
যেহেতু পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল সব এলাকার মানুষই দুয়ারে রেশনের সুবিধা পাবেন। তাই সব জায়গায় চলনসই গাড়ি তৈরির কথাই ভাবা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছতে প্রত্যেক ডিলারকেই কিনতে হবে এই গাড়ি। আর এই গাড়ি কিনতেই রাজ্যের রেশন ডিলারদের এককালীন এক লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি খাদ্যভবনে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্যের প্রায় ২৩ হাজার রেশন ডিলারকে বাড়ি বাড়ি মাল পৌঁছনোর জন্য গাড়ি কিনতে এককালীন অর্থসাহায্য করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে মমতার প্রতিশ্রুতি ছিল, ভোটে জিতলে তাঁর সরকার এবার রেশন পৌঁছে দেবে দুয়ারে। ঘরেই পৌঁছে যাবে চাল, আটা। দরজায় দরজায় চাল-গম-চিনি-সহ রেশনদ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট রেশন ডিলারের। এজন্য তাঁদের মালবাহী গাড়ি চাই, যাতে ওজনযন্ত্র বসানোরও সংস্থান থাকে, এবং যা শহরের এবং গ্রামের রাস্তায় চলাচলের উপযোগী। স্বাভাবিকভাবেই গাড়িগুলির যথেষ্ট দাম হবে। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে খাদ্যশ্রী দিবসের দিন খাদ্য ভবনে বৈঠক হয়। ছিলেন তিনটি গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, সব সংস্থাই এই ধরনের গাড়ির জন্য ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা দর দিয়েছে। তার মধ্যে এক লক্ষ টাকা সরকার দেবে বলেই ভাবা হচ্ছে। যে গাড়ির ডিলারের থেকে গাড়ি কিনবেন রেশন ডিলার তাঁর কাছেই সরাসরি এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেমনটা দেওয়া হত গতিধারা প্রকল্পের সময়।