২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে মোদী সরকার। বিভাজনের তাস খেলে পূর্বতন রাজ্য ভেঙে গড়া হয় জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সেদিন বড় মুখ করে নতুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে উপত্যকায় জঙ্গী কার্যকলাপ কমবে। উন্নয়নে ভরে যাবে গোটা এলাকা।’ তবে তা তো হয়ইনি, বরং সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গীদের খুনোখুনি আরো বেড়েছে। পরপর কয়েকজন বিজেপি নেতা, কর্মী জঙ্গী হামলায় নিহত হয়েছেন। কিন্তু এর পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর বিজেপিকে ভাবাচ্ছে সম্প্রতি কুলগাম জেলায় পিস্তল সমেত এক দলীয় সরপঞ্চের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার বিষয়টি। যার জেরে বিজেপি সহ সভাপতি ও কাশ্মীর শাখার কো-ইনচার্জ সোফি ইউসুফ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল দিলবাগ সিংকে চিঠি লিখে ১০টি জেলার সবগুলির দলীয় কর্মীদের সিআইডি ভেরিফিকেশনের প্রস্তাব দিয়েছেন। দলের একাংশের জঙ্গীযোগ আছে কিনা, সে ব্যাপারেই নিশ্চিত হতে চান তিনি।
সোফি বলেছেন, দু-তিনদিন আগে কুলগাম থেকে জঙ্গি সংশ্রব রাখা এক সরপঞ্চকে পিস্তল সমেত গ্রেফতার করেছে। সত্যিটা যাতে বেরিয়ে আসে, সেজন্য সবার ভেরিফিকেশন হওয়া দরকার। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুলগাম পুলিশ ও ১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ তল্লাশি দল খুদওয়ানিতে ২ জনকে গ্রেফতার করে একটি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড পেয়েছে। আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চলছে। সোফি বলেন, সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে। জঙ্গী গোষ্ঠীর ওভারগ্রাউন্ড কর্মী হিসাবে কাজ করা কিছু খবরের কাগজের রিপোর্টার গ্রেফতার হয়েছে। তাহলে কাকে বিশ্বাস করব, কাউকে করা যাচ্ছে না। সেজন্যই আমি পুলিশের ডিজিকে যথাযথ ভেরিফিকশনের জন্য লিখেছি, যারা বেআইনি কাজকর্মে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বিজেপি সূত্রের খবর, সিআইডি রিপোর্টে যদি দলীয় পদাধিকারীদের জাতীয়তাবিরোধী কাজে সামিল থাকার প্রমাণ থাকে, তবে তাদের, তারা যে স্তরেরই হোক, সরিয়ে দেবে দল।