বাংলার বিধানসভা ভোট জিতে ওঠার পর প্রথমবার রাজধানী সফরে গিয়ে তিনি স্পষ্ট করে এসেছেন এবার তাঁর আসল লক্ষ্য দিল্লী। সেই সূত্রে মাসে দুবার করেও দিল্লী যেতে পারেন তিনি। সেই অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লী যাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই বিরোধীদের বৈঠকে মধ্যমণি হতে চলেছেন তিনি। শুক্রবার বিজেপি বিরোধী বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিকেল ৪টেয় ভার্চুয়ালি হবে এই বৈঠক। মমতা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবংঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন-সহ অন্য দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
রাজনৈতির মহলের মতে, বিরোধী শিবিরকে যখন একজোট হতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসছেন, তখন এদিনের বৈঠক সোনিয়া গান্ধির ডাকা হলেও তার মধ্যমণি হতে চলেছেন মমতাই। গত দিল্লী সফরে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক হয়নি তৃণমূল নেত্রী। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিরোধী শিবির থেকে পাওয়ার সরে যাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়। কিন্তু এদিনের বৈঠকে শরদ পাওয়ার থাকছেন বলেই খবর। তা বাস্তবে হলে বিরোধী শিবির নিঃসন্দেহে অক্সিজেন পেতে পারে।
গত মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়াদিল্লীতে এসে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। তার পর এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এখন ক্রমশ শক্তিশালী করার কাজ চলছে বিরোধী জোটকে। বাদল অধিবেশন জুড়ে ঘন ঘন বৈঠক করেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। এবার বিরোধীদের জন্য একটি বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। আজ সেই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, আম আদমি পার্টিকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।