একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল, দোষারোপের পালা। নিত্যদিন ভাঙনও ধরছে দলে৷ এবার ফের চাপ বাড়ল তাদের। আসলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন দলে দলে শিল্পীরা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে, নির্বাচন মিটতেই তেমনি একে একে দল ছাড়ছেন টলিউড তারকারা। ইতিমধ্যেই রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করে দল ছেড়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। বেসুরো শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘাড়েই এর দায় চাপালেন রাম ছেড়ে বামের দিকে পা বাড়ানো রূপা ভট্টাচার্য।
গুঞ্জন তখনি উঠেছিল যখন হঠাৎ করে বামের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ দিন পূর্তির অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে খোলা চিঠি দিয়ে দল ছাড়ার কারণ জানালেন রূপা। ফাঁস করলেন দলের অভ্যন্তরের ‘লবিবাজি’র কথা। তাঁর দাবি বিজেপিতে লবিবাজি কম নেই। বিজেপি ত্যাগী মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ যারাই তাদের সকলের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছেন দিলীপ ঘোষ। দু’বছর ধরে নাকি নাকানি চোবানি খেয়েছেন তাঁরা। একজনের থেকে ডাক পেলে অন্যজন রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
কোনও রাখঢাক না করেই রূপা বলেছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় অনেকেই ভেবেছিলেন বাংলায় এবার বিজেপি সরকার আসবে। তাই দলে দলে যোগ দিয়েছিলেন শিল্পীরা। নতুনদের সকলকেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তিন বছর ধরে দলের সঙ্গে থেকে লড়াই করেও ব্রাত্য হয়ে থাকলেন। এমনকি নির্বাচনের পরেও তাঁদের শুনতে হয়েছে তাঁরা দলের কেউ না। রূপারা তবু মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। বাকি শিল্পীরা নাকি দিলীপ ঘোষের ‘রগড়ানি’র জন্যই বিজেপি ছেড়েছেন। রূপার কথায়, দিলীপ ঘোষ ‘ভণ্ড’। ২০১৯-এ যখন তাঁরা দলে যোগ দিয়েছিলেন তখন যে দিলীপ ঘোষ তাঁদের উত্তরীয় পরিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে আজকের মানুষটার কোনও মিল নেই।