এবার জাতীয় মঞ্চে ফের গৌরবান্বিত বাংলার। করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর নয়া মডেল তৈরি করে গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই বাংলারই এক শিক্ষক। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে পুরস্কৃত করবেন।
বাংলার ডঃ হরিস্বামী দাস-সহ গোটা দেশ থেকে এবার মোট ৪৪ জন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেতে চলেছেন । হরিস্বামীবাবু মালদহের শোভানগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। গত বছর লকডাউন শুরু হওয়ার পর তিনি সহ–শিক্ষকদের নিয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করেছেন। সন্তানসম ছাত্রছাত্রীদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিংও করেছেন। চলতি বছরে তিনি ‘হাইব্রিড লার্নিং’ পদ্ধতির কথা নয়া দিল্লীকে জানিয়েছেন।
করোনা আবহে অর্ধেক পড়ুয়া স্কুলে এবং অর্ধেক বাড়িতে থেকে কীভাবে পড়াশোনা করতে পারবে, তা নিয়েই এই মডেল। যা পছন্দ হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের। বাংলা থেকে এবারের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেতে চলা শিক্ষক ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেকটি বইয়ের কিউআর কোড তৈরি করেছেন। যা রাজ্যের আর কোনও স্কুল করেনি। এর ফলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী যেকোনও জায়গায় একটি মোবাইল থেকেই যে কোনও বই পড়ে ফেলতে পারছেন।
হরিস্বামীবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর মালদহের স্কুলটি ২০১৫ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পেয়েছিল। ২০১৮ সালে পেয়েছিল শিশুমিত্র পুরস্কার। পরের বছর পায় যামিনী রায় পুরস্কার। শিক্ষামন্ত্রক গত বছর প্রধান শিক্ষককে জল সংরক্ষণ ও নিখরচায় শিক্ষণ সামগ্রী তৈরির জন্য দু’বার জাতীয় পুরস্কার দিয়েছে। বুধবার দিল্লি থেকে প্রকাশিত তালিকায় তাঁর নাম দেখার পর হরিস্বামীবাবু বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস সেমিনার সবকিছুই হয়েছে। সারা বছর বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেছি আমরা। তার স্বীকৃতি মিলল। ভাল লাগছে।’