সোমবারই ত্রিপুরার মাটিতে পা রেখেছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। আর তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ফতোয়া। রেস্তরাঁয় বসে তাঁকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না— ত্রিপুরায় হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই ফতোয়া জারির অভিযোগ করল তৃণমূল। শুধু আলোচনা নয়, বারবার খাবার অর্ডার করলেও তা দেওয়া হবে না বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল বাংলার শাসক দল।
ঘটনা মঙ্গলবারের। ত্রিপুরার আগরতলায় জনা সত্তর যুবক-যুবতী তৃণমূলে যোগ দেন সায়নীর হাত ধরে। তার আগে কয়েক দফায় রাজনৈতিক আলোচনা করেন সায়নী আগরতলায় যে হোটেলে উঠেছেন তার রেস্তরাঁয় বসে। সে সময় বেশ কয়েকবার খাবার চেয়ে পাঠান সায়নী। অভিযোগ, দু’বারের বেশি তা দিতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ।
সায়নীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রথমে তা মেনে নেওয়া হয়। বাইরে থেকে খাবার আনানো হয়। কিন্তু পরক্ষণেই এসে জানানো হয়, রেস্তরাঁয় বসে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না।’ সে রাজ্যের তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিংয়ের বক্তব্য, ‘আমি কোথায় বসে কী আলোচনা করব সেটা কি কেউ ঠিক করে দিতে পারে?’
তাঁর কথায়, ‘আসলে বিজেপি সরকার ভয় পেয়েছে বলেই এগুলো করছে।’ তিনি দাবি করেছেন, ‘এদিন যেখানে তৃণমূলে যোগদান চলছিল, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের গাড়ি সেই পথেই যাচ্ছিল। যোগদান পর্ব তাঁর চোখে পড়ার পর থেকেই আপত্তিকর সব ঘটনা ঘটতে থাকে।’