আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছেন তিন দিন আগেই। তার পর আর খবর মেলেনি তাঁর। এ বার জানা গেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। মানবাধিকার তাগিদে তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে সে দেশের সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় আমিরশাহির বিদেশ মন্ত্রক গনিকে আশ্রয় দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, “সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পররাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগ মানবিকতার তাগিদে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি এবং তাঁর পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, রবিবার তালিবান কাবুল দখল করার পরই দেশ ছেড়ে চলে যান গনি। প্রথমে শোনা যায়, তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে দেশের সরকার তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। এর পর গনি ওমানে রয়েছেন বলেও খবর মেলে। শেষ মেশ জানা গেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে গনি এমন এক প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা, যাঁর গায়ে ‘পার্সন নন গ্রাটা’ তকমা সেঁটে গিয়েছে। কূটনীতির ভাষায় এর অর্থ, এমন এক রাষ্ট্রনেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা কূটনীতিবিদ, সব দেশে যাঁর প্রবেশে অনুমতি নেই। এর আগে, ২০১৭ সালে তাইল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইংলুক শিনাওত্রা দুবাইয়ে আশ্রয় পান। স্পেনের রাজা হুয়ান কার্লোস গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই আশ্রয় নেন। ২০০৭ সালে পাকিস্তানে খুন হওয়ার আগে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো দীর্ঘ আট বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আশ্রয়ে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালিবান রাজত্বকে প্রকাশ্যে যে তিন দেশ সমর্থন জানিয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তাদের মধ্যে অন্যতম। বাদি দুই দেশ হল, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান। রবিবার তালিবান কাবুল দখল করার পরই দেশ ছেড়ে চলে যান গনি। প্রথমে শোনা যায়, তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে দেশের সরকার তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। এর পর গনি ওমানে রয়েছেন বলেও খবর মেলে। শেষমেশ জানা গেল, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছেন।