এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ডই এখন মূল লক্ষ্য এটিকে মোহনবাগানের। সেই পরিকল্পনা সফল করতে আজ, বুধবার মলদ্বীপে গ্রুপ পর্যায়ের অভিযান শুরু করছে তারা। আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের দলের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। শেষ বার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই দুই দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল, তখন সবুজ-মেরুন শিবির ছিল রয় কৃষ্ণ এবং মার্সেলিনহোর গোলে। এবার হাবাসের দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গত বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি থেকে এসেছেন আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হুগো বুমোস।
যদিত অতীতের ফলাফল নিয়ে আত্মতুষ্ট হতে নারাজ হাবাস। তিনি বলেছেন, ”বেশ কয়েক জন নতুন ফুটবলারকে সই করিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। দলের কোচও বদলেছে। ফলে শক্তির তারতম্য তো হয়েছেই। কঠিন লড়াই হবে।” যোগ করেছেন, ”সুবিধা এটাই যে, বেঙ্গালুরু এফসি চেনা প্রতিপক্ষ। জিততে গেলে শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করতে হবে।” এটিকে-মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, “অতীতে কবে বেঙ্গালুরুকে কী ভাবে হারিয়েছি, তা ভেবে লাভ নেই। সেটা ছেলেদের বলে দেওয়া হয়েছে। নতুন পরিবেশ, নতুন মাঠে এটা একটা নতুন পরীক্ষা।” প্রীতম কোটালদের রক্ষণে গত মরসুমে খেলা স্টপার সন্দেশ জিঙ্ঘন এ দিনই ক্রোয়েশিয়া রওনা হলেন সে দেশের ক্লাবে খেলতে। এ বছর ইউরো ২০২০ তে খেলে আসা জনি কাউকোও যাননি দলের সঙ্গে। হাবাস এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিয়েছেন, ”জানি বিদেশিদের অনেকেই নেই এই প্রতিযোগিতায়। তা সত্ত্বেও প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করতে আশাবাদী আমরা। ছেলেরা গত আইএসএলের পরে বিশ্রাম পেয়ে তরতাজা রয়েছে। এ বার নতুন লড়াই হবে।”
এদিন প্রথম আধঘণ্টা সুনীল ছেত্রীদের দেখে নিয়ে তার পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে বলেছেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে রয় কৃষ্ণ এবং ডেভিড উইলিয়ামস জুটি সব সময়েই ভয়ঙ্কর। আক্রমণ ভাগে এঁদের সঙ্গে মনবীর সিংহকে রেখে মাঝমাঠে হাবাস রাখতে পারেন বুমোসকে। বেঙ্গালুরু কোচ মার্কো পেজ্জাইয়ুলি কলকাতার দলটির মুখোমুখি হওয়ার আগে বলেছেন, ”দু’দিন আগেই প্লে-অফ ম্যাচ জিতেছি। এটা ইতিবাচক ব্যাপার। এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজেই খেলতে হবে জিততে গেলে।”