সোমবারই ত্রিপুরার মাটিতে পা রেখেছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। এদিন তাঁর হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছে অনান্য বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের যুব নেতা-নেত্রীরা। আর এ নিয়েই চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। চিন্তায় পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও। কারণ যে স্বপ্ন ফেরি করে বিজেপি উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল, তার ধারেকাছেও উন্নয়ন ঘটিয়ে দেখাতে পারেনি। তার ওপর রাজ্যে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় এখন বিজেপির বিরুদ্ধেও অনেকে ক্ষোভে ফুটতে শুরু করেছে। তার মধ্যে তৃণমূলের এই ক্রমাগর রাজনৈতিক প্রভাব বাড়িয়ে চলা বিপ্লব-সহ গোটা গেরুয়া শিবিরকেই চাপে ফেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটযুদ্ধ জয়ের পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরা। ২১ জুলাইয়ের পর থেকে নিয়ম করে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদরা। এই সীমিত সময়ের মধ্যেই দু’বার ঘুরে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা ওখানে তৃণমূল আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু নেতা-নেত্রীরা লাগাতার আক্রান্ত বা গ্রেফতার হলেও হাল ছাড়ছে না ঘাসফুল শিবির। তারই মধ্যে এবার ত্রিপুরায় দলের যুব সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে সেখানে চলে গিয়েছেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। গতকাল আগরতলায় পা রেখেই বিজেপি তথা বিপ্লব দেব প্রশাসনকে তোপ দাগেন সায়নী।
আর এদিন তো ত্রিপুরার যুব সমাজের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবল উৎসাহ নজরে এসেছে। আজ, আগরতলার হোটেল পোলো টাওয়ারে সায়নীর হাত ধরে বিভিন্ন দলের যুব নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দেবে। এই প্রসঙ্গে সায়নী জানিয়েছেন, ‘এর আগে যুবরা এসেছে। মা ত্রিপুরেশ্বরীর কাছে আমিও এলাম। আসতে তো হবেই। এখানে তৃণমূলের সংগঠন হবে। খেলা হবে। বিজেপি যত বেশি আক্রমণ করবে, মানুষ তত ওদের থেকে সরে যাবে। এটা বাংলাতেও হয়েছে। ত্রিপুরাতেও হবে। ত্রিপুরাবাসীর কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাঁরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাঙ্গা নিলে, উনি আরও বেশি চাঙ্গা হন। তৃণমূলকে এভাবে আটকানো যাবে না।’