বিজেপিশাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতে এবার তৃণমূলের হয়ে হয়ে ব্যাটন ধরতে প্রস্তুত বসুন্ধরা গোস্বামী। তিনি জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় লেখেন। খাতায় কলমে ২০১৭ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। যদিও সর্বত্র তার পরিচয় ছাপিয়ে উঠে এসেছে একটাই কথা। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা। ব্রাত্য বসুর সাথে ত্রিপুরার মাটিতে হাজির ক্ষিতি-পুত্রী বসুন্ধরা।ত্রিপুরা বিজেপি বিরোধিতায় সংগঠন ঢেলে সাজাতে তৎপর তৃণমূল। শুক্রবার ত্রিপুরা পৌছে গিয়েছেন জোড়া ফুল শিবিরের একাধিক সাংসদ। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজে যাতায়াত করছেন একাধিকবার।
উল্লেখ্য, একটা সময় যে রাজ্যের রাজনৈতিক দখল ছিল বামেদের হাতে, সেই বাম নেতার মেয়েকেই তৃণমূলের সংগঠনের হাত শক্তিশালী করতেই ত্রিপুরায় নিয়ে আসা হয়েছে। ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধিতায় বাম কর্মীদের কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, “ত্রিপুরার বামেদের সাথে বাংলার বামেদের একটা পার্থক্য আছে।” আর সেই মর্মেই ক্ষিতি-কন্যার ত্রিপুরার প্রতিনিধি দলে উপস্থিতি নজর কেড়েছে। ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বামফ্রন্ট শিবিরকে উজ্জীবিত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বামেদের ভোট যাতে বিজেপিতে না যায় তা নিয়ে যথেষ্ট কৌশল সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বসুন্ধরা অবশ্য ত্রিপুরায় এসে দেখা করছেন দলীয় কর্মীদের সাথে। বিশেষ করে মহিলাদের সাথে কথা বলছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি কথা বলেছেন বসুন্ধরা। জানার চেষ্টা করেছেন এখানের মানুষের অসুবিধা। একেবারে মাটিতে থেকেই বাস্তব অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। দলের এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন, বাবা মন্ত্রী ছিল বলে, আলাদা কোনও অহং বসুন্ধরার নেই। ও একেবারেই মাটিতে থেকে অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগেই বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলায় লিখে সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছেন। দলের কোপেও পড়েছেন তিনি।