সোমবারের পর মঙ্গলবারও ফের রাজ্যে আরও এক কর্মসূচী নিয়েছে বিজেপি। এদিন করোনা বিধি উড়িয়ে শিলিগুড়ির হাসমি চকে দলের শহীদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচী পালনের জন্য রাস্তায় নামতেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। এবার তার আঁচ এসে পড়ল দক্ষিণবঙ্গেও। মহামারী আইনে জমায়েত করা যাবে না— এ কথা সাফ জানিয়ে বিরাটিতেও এদিন বিজেপির কর্মসূচীতে বাধা দেয় পুলিশ। এই নিয়ে সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের।
বিরাটির গৌরীপুর কালিবাড়ি এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এ দিন ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ শুরু করার আগে এই কালিবাড়িতে পুজো দিতে এসেছিলেন শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর ভাই বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কিন্তু তাঁরা আসার আগেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে চলে যায় পুলিশ। এরপরই মহাজাতি নগরের গৌরীপুরে ওই কালি মন্দিরের কাছে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি দাবি করেন, যে কর্মসূচীতে তাঁদের যাওয়ার কথা সেখানে তাঁর সঙ্গে কর্মী সমর্থকদেরও যেতে দিতে হবে।
পুলিশ শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর বিধায়ক ভাই সুব্রত ঠাকুরকে যাওয়ার অনুমতি দিলেও সঙ্গে আসা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকে দেয়। তারপরই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অন্যান্য কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে সেই গাড়িতে উঠে পড়েন শান্তনু। অন্যদিকে, দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। উত্তরপাড়ায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছিল। সেই মঞ্চ করতে বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশবাহিনী। সেখান থেকে ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।