শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়’। কিন্তু নাম বদলের রাজনীতিতে দেশের মধ্যে খুব ‘নাম’ করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। এলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ। মোগলসরাই স্টেশন হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায়। ফৈজাবাদ হয়েছে অযোধ্যা জেলা। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আমলে অব্যাহত নাম বদলের ধারা। এবার যেমন ‘দীর্ঘদিনের দাবি মেনে’ আলিগড়ের নাম বদলে হরিগড় করার প্রস্তাব পাশ করাল আলিগড় জেলা পঞ্চায়েত। ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি কোনও পঞ্চায়েত সদস্য। মোট ৭২ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫০ জন। সোমবার পাশ হওয়া প্রস্তাবটি যোগী সরকারের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আলিগড় বিমান বন্দরের নাম হোক বিজেপি নেতা কল্যাণ সিং-এর নামে। উত্তরপ্রদেশে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি মৈনপুরি জেলা পঞ্চায়েতে পাশ হওয়া এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মৈনপুরির বদলে জেলার নাম রাখা হোক মায়ান নগর। মায়ান ছিলেন একজন ঋষি। আবার আগস্টের শুরুতে ফিরোজাবাদ জেলা পঞ্চায়েত এক প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলে, তাদের জেলার নাম রাখা হোক চন্দ্র নগর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২২ সালে বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে আসার জন্যই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতারা নাম বদলের দাবি তুলছেন। রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গুলাব দেবী দাবি করেছেন, সম্ভল জেলার নাম হোক পৃথ্বীরাজ নগর বা কল্কি নগর। বিজেপির বিধায়ক দেবমণি দ্বিবেদি দাবি তুলেছেন, সুলতানপুরের নাম বদলে করা হোক কুশভবনপুর। তাঁর বিশ্বাস, রামচন্দ্রের ছেলে কুশ এই নগর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।