করোনার জন্য আগামী বছরও যদি খাতা-কলমে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে নতুন পদ্ধতিতে হবে মূল্যায়ন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতি আনাই লক্ষ্য, জানালেন নব নিযুক্ত পর্ষদ সভাপতি। সোমবার সংসদের সভাপতি পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, – ‘এবার একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী বছরও একই অবস্থা থাকলে উচ্চমাধ্যমিকে কীভাবে মূল্যায়ন হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।’ উচ্চমাধ্যমিকের ফলবিভ্রাট নিয়েও এবার বিস্তর অশান্তি হয় রাজ্যে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। পরে সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। রিভিউতেও বহু পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে। নতুন সংসদ সভাপতি এদিন জানিয়েছেন, – ‘মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও আধুনিক হবে!’
আইসিএসই বোর্ড ঘোষণা করেছে তারা বছরে দু’টি সেমিস্টারের করবে। দু’টি দিল্লী বোর্ডের তুলনায় রাজ্যে বেশ কয়েকগুণ বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে বসে। সংসদ সূত্রে খবর, মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রস্তাবের খসড়া যাবে স্কুলশিক্ষা দপ্তরে। নবান্নের সায় মিললে তা ঘোষণা হবে। এদিকে সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে ১২ আগস্ট সরিয়ে দায়িত্ব পান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। আপাতত দু’টি দায়িত্বেই তিনি বহাল থাকবেন।
করোনার চাপে চলতি বছরে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। আগের ক্লাসে পাওয়া নম্বরের প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ হয়েছে। গত বছর মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় কোনও ক্লাসের পরীক্ষাই হয়নি। আগামী বছরও এই অবস্থা জারি থাকলে মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সব মহল। সিবিএসই দশম এবং দ্বাদশ-এর পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে দিয়েছে।