কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের অন্যতম মুখ সুস্মিতা দেব। প্রখ্যাত রাজনীতিক সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দীর্ঘদিন ধরেই মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে সামনে এসেছেন। আসামে কংগ্রেসের সংগঠনেও প্রত্যক্ষভাবে নিজের ছাপ রেখেছেন। সেই সুস্মিতা দেব এবার কংগ্রেস ছেড়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আর এরই মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সুস্মিতার গন্তব্য কি এবার তৃণমূল? জল্পনা ক্রমেই বাড়ছে।
রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেই বাইরের রাজ্যে সংগঠন গড়ে তোলায় জোর দিয়েছে তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্যে প্রথম টার্গেট করা হয়েছে ত্রিপুরা ও আসামকে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল। একইসঙ্গে নজরে রয়েছে আসামও। সেই আসামের নেত্রী এবার দল ছাড়ায় কংগ্রেসের চাপ অনেকটাই বাড়ল। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে চিঠিতে সুস্মিতা লিখেছেন, ‘এই চিঠিটি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আমার ইস্তফাপত্র হিসেবে গ্রহণ করুন। দীর্ঘ তিন দশক ধরে আমি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। দলকে, দলের সমস্ত নেতাদের, কর্মীদের আমার তরফ থেকে অনেক ধন্যবাদ এমন মনে রাখার মতো যাত্রা উপহার দেওয়ার কারণে। ম্যাডাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকেও ধন্যবাদ দিতে চাই আপনার পরামর্শ ও আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। মানুষের স্বার্থে কাজ করে যেতে আমি নতুন পর্ব শুরু করতে চলেছি।’
আর সুস্মিতার এই নতুন যাত্রা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই আসামে সংগঠন গড়ে তুলতে সিএএ প্রতিবাদের মুখ তথা বিধায়ক অখিল গগৈকে দলে আনতে চেয়েছিল তৃণমূল। দু’তরফে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও হয়। কিন্তু সেই আলোচনা এখনও তেমন ফলপ্রসূ জায়গায় পৌঁছায়নি। এরই মধ্যে আসামে সুস্মিতাকে নিয়ে শুরু হল জল্পনা। আসামের রাজনৈতিক মহল একপ্রকার নিশ্চিত, তৃণমূলেই যোগ দিতে চলেছেন সুস্মিতা।
একটা অংশের দাবি, রাজ্যসভার একটি আসনে এখনই সাংসদ পাঠাতে পারবে তৃণমূল। সেই আসনে সুস্মিতাকে পাঠানো হতে পারে। একইসঙ্গে তৃণমূল তাঁকে আসামে সংগঠন গড়তেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনতে পারে। তবে, সবটুকুই এখনও জল্পনার স্তরে।