ফের পিছিয়ে গেল নারদ মামলার শুনানি। জামিনে মুক্ত চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মামলা অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে সোমবার প্রায় ১ মাস পর শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সিবিআইয়ের তরফে মামলাটি পিছিয়ে আবেদন জানানো হয় ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে। তা মঞ্জুরও হয়েছে। ফের ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে এই মামলার শুনানি।
সূত্রের খবর, সোমবার হাই কোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে মামলা শুনানির জন্য উঠলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, সলিসিটর জেনারেল অন্য একাধিক মামলায় ব্যস্ত। তাই নারদ নিয়ে তিনি সময় দিতে পারছেন না। শুনানি আরও অন্তত ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। সেই আবেদন মেনে বিচারপতিরা সিবিআইকে ১০ দিনের বদলে চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেন। ফলে আবারও ১ মাস পিছিয়ে গেল এই মামলার শুনানি। আর এখানেই প্রশ্ন উঠল, যে সিবিআই হাইপ্রোফাইল মামলাটির নিষ্পত্তি করতে এত তৎপর, তারা কেন হঠাৎ গতি এত শ্লথ করে ফেলল?
দেশের অন্যতম হাইপ্রোফাইল নারদ মামলা। গত মে মাসে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীকে গ্রেফতারির পর জামিনের বিরোধিতায় মাঝরাত পর্যন্ত আদালতের বিশেষ এজলাসে বসানোর আবেদন জানায় সিবিআই। প্রায় প্রতিটি শুনানিতে উপস্থিত থেকে সিবিআইয়ের হয়ে নিজে সওয়াল-জবাব করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। কিন্তু তিনি এই মুহূর্তে অন্যান্য মামলা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। সেই কারণেই বাড়তি সময় চেয়েছে সিবিআই। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে। তবে কি নারদ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? সেই কারণেই কি নিজেরাই কিছুটা উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে? নাহলে এত তৎপরতা থেকে আচমকা এই নিরুৎসাহী মনোভাব কেন? এ নিয়ে আইনজীবী মহলে চলছে জোর আলোচনা। এই অবস্থায় পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ প্রায় ১ মাস পর হাই কোর্টে সিবিআই কী সওয়াল করে, সেদিকেই নজর সবমহলের।