ভরা কুয়াশা। পাহাড়ি রাস্তা। সাদা মেঘের ভেলা। ক্যুইন অফ হিলস দার্জিলিংয়ের এমন মনকাড়া পরিবেশ ক্লান্তি দূর করে। পাহাড়ের আকর্ষণই যেন আলাদা। তাই তো কয়েকদিনের ছুটি মানেই দার্জিলিংয়ের টানে বেরিয়ে পড়া। তবে করোনার তাণ্ডবে পর্যটকরা পাহাড় থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন।
কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে পর্যটক খরা কাটাতে ফের সাড়ে তিন মাস পর শুরু হল টয়ট্রেনের জয়রাইড। সোমবার সকালে ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটল টয়ট্রেন। ম্যাজিক হুইসল্ নস্ট্যালজিক করে তুলল অনেককেই।
দিনকয়েক আগে দার্জিলিংয়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। হু হু করে বাড়ছিল সংক্রমিতের সংখ্যা। তার জেরে কিছুটা সাবধানী হয়ে উঠেছিল জেলা প্রশাসন। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য একগুচ্ছ শর্ত জারি করা হয়েছিল। জানা হয়েছিল দার্জিলিংয়ে পা রাখতে গেলে প্রয়োজন সর্বাধিক ৩ দিনের পুরনো আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট অথবা জোড়া ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট।
সোমবার থেকে ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটছে টয়ট্রেন। দার্জিলিং থেকে ঘুম এবং ঘুম থেকে দার্জিলিং শুরু হয়েছে জয়রাইড। মোট ৬টি টয়ট্রেন আপাতত চলবে। তার মধ্যে ৪টি স্টিম ইঞ্জিন এবং বাকি ২টি ডিজেল ইঞ্জিন। ডিজেল জয়রাইডে যাত্রী পিছু খরচ কিছুটা কম। লাগবে মাত্র এক হাজার টাকা। স্টিম জয়রাইডে খরচ পড়বে দেড় হাজার টাকা।
স্বাধীনতা দিবসেই টাইম টেবিল প্রকাশ করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, “সম্পূর্ণ কোভিডবিধি মেনেই টয়ট্রেনের জয়রাইড ফের শুরু হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।” লক্ষ্মীলাভের আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পাহাড়ের টান কি অগ্রাহ্য করা যায়? তাই তো ধীরে ধীরে পর্যটকের খরা কাটছে দার্জিলিংয়ে।