আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এখনও রয়েছে প্রায় ২০০ জন ভারতীয়। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ও বিদেশ মন্ত্রকের কর্মী সহ প্রায় ২০০ জন ভারতীয় এখনও কাবুলে রয়েছেন। কাবুলে আটকে প্রায় ২০০ জনের বেশি ভারতীয়। তাঁদের উদ্ধার করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে ভারতের তরফে। তবে তালিবান কাবুলে কারফিউ জারি করেছে।
পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আর উড়বে না কোনও বিমান। আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ও বিদেশ মন্ত্রকের কর্মী সহ প্রায় ২০০ জন এখনও কাবুলে রয়েছেন। তালিবানরা কাবুল দখল করতেই শহর ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে সকলে। কাবুল বিমানবন্দরে সোমবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি বিগড়োতে শুরু করে।
একটি ভারতীয় বিমান কাবুল বিমানবন্দরে রয়েছে। তবে ভারতীয়দের এয়ারপোর্ট পর্যন্ত আনাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, কাবুল দখলের পরে শহরে কারফিউ জারি করেছে তালিবান। রিপোর্ট মোতাবেক জানা গিয়েছে, কাবুলে আটকে পড়া ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের প্রায় ১০০ জন সদস্য। এই কর্মীরা দূতাবাস রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন।
কাবুল বিমানবন্দরে সোমবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি বিগড়োতে শুরু করে। তালিবানরা কাবুল দখল করতেই শহর ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে লোকজন। সকলেই চাইছে কাবুল ছেড়ে পালাতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি ছোঁড়ে মার্কিন সেনারা। গুলি চালানোর জেরে কাবুল বিমানবন্দরে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। প্লেনের চাকায় বেঁধে কাবুল ছেড়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টা, পড়ে মৃত ২।
এছাড়া, কাবুল ছাড়তে মরিয়া হয়ে প্লেনের চাকায় নিজেদেরকে বেঁধে নেন দু’জন। তবে প্লেন উড়তেই তাঁরা দু’জন নীচে পড়ে যায়। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাবুল থেকে উড়ান নেয় বিমানটি। কিছু দূর যেতেই চাকায় বাঁধা দু’জন নীচে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় তাঁদের। রবিবার আফগানিস্তান থেকে ১২৯ জনকে উড়িয়ে নিয়ে দেশে ফেরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI-244। রবিবার সন্ধ্যে ছ’টা ছ’মিনিট নাগাদ কাবুল থেকে ওই বিমান আকাশে ওড়ে। রাত আটটার একটু আগে বিমানটি দিল্লী এয়ারপোর্টে নামে।