নতুন করে আর কোনও সমস্যা না হলে ১৫ আগস্ট থেকে এবার কলকাতায় জাতীয় ফুটবল শিবির হচ্ছেই। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগালো রাজ্য ক্রীড়াদপ্তর। ‘খেলা হবে’ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ১৬ আগস্ট যুবভারতীতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় দল এবং রাজ্য দলের মধ্যে এক প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ।
কোভিড বিধি মেনে ম্যাচ দেখার জন্য যুবভারতীতে দর্শকদের প্রবেশাধিকার না থাকলেও, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মনে করছেন, কোভিড আবহে ‘খেলা হবে’ দিবসে জাতীয় দলের বিরুদ্ধে রাজ্য দলের ফুটবল ম্যাচের থেকে ভাল কিছু আর হতেই পারে না।
কাতারে প্রি ওয়ার্ল্ড কাপের ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগেও কলকাতায় জাতীয় ফুটবল শিবির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় করোনার বাড়াবাড়িতে জাতীয় শিবির করার পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় ফেডারেশনকে। পরবর্তীতে ফের কলকাতায় জাতীয় শিবিরের পরিকল্পনা হতেই ব্যাপারটা মাথায় আসে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের।
সঙ্গে সঙ্গে ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঠিক হয়, ‘খেলা হবে’ দিবসে জাতীয় দলকে যুবভারতীতে খেলাতে পারলে, এর থেকে ভাল পরিকল্পনা আর কিছু হতে পারে না। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুনীল ছেত্রী-সহ এটিকে মোহনবাগানেরও বেশ কিছু ফুটবলার এই মুহূর্তে এএফসি খেলতে ব্যস্ত। তাঁদের বাদ দিয়ে কোনওরকম অনুশীলন ছাড়া কলকাতায় এসেই পরের দিন জাতীয় দলের বাকি ফুটবলাররা ম্যাচটা খেলবেন।
কিন্তু পুরোটাই প্রদর্শনী ম্যাচের আবহে। যেখানে খেলার থেকেও বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে, ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করা। তাই ম্যাচটা প্রতি অর্ধে হবে ২০ মিনিট করে। বাংলা দলের হয়ে খেলবেন, সন্তোষ ট্রফিতে খেলা ফুটবলাররা। আইএফএ চাইছে, ম্যাচটা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার ছাড়াও রেডিওতে সম্প্রচার করার। ডিজিটাল মাধ্যমেও ম্যাচটা সম্প্রচার করা হবে।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শুধু বাংলা নয়, ১৩-১৪টি রাজ্যেও ‘খেলা হবে’ দিবস পালিত হবে। আর এখানে ৩৪৩ ব্লক, ৬টা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন, ১১৭ টা পৌরসভা, ২৩ টি জেলা সদর সহ ৯৪২ টি ইউনিটে খেলা হবে দিবসের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১৬ আগস্টে ফুটবল খেলা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় এই মুহূর্তে মারাত্মক উত্তেজনা।” তবে একই দিনে আইএফএর ফুটবলপ্রেমী দিবসে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হবে। রক্তদাতাদের সুব্রত পালের সই করা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও ম্যাচের সময় উপস্থিত থাকবেন বহু প্রাক্তন ফুটবলার। সাংবাদিক সম্মেলনে আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত বলেন, “জাতীয় দলের ফুটবলাররা যেহেতু পাঁচতারা হোটেলে বায়োবাবলের মধ্যে থেকে খেলতে নামবে, তাই বাংলা দলে সেই ফুটবলারদেরই রাখা হচ্ছে, যাদের দুটো করে ভ্যাকসিন নেওয়া আছে।”