ফের বৃদ্ধি পেতে পারে দেশজুড়ে শ্রম কোড আইন কার্যকরের সময়। সরকারি সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে গররাজি অধিকাংশ অবিজেপি রাজ্যই। ফলে নাজেহাল মোদী সরকার। ১ অক্টোবরের ডেডলাইন আপাতত কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বারবার ডেডলাইন মিস হলে জাতীয়স্তরে মুখ পুড়বে, এই আশঙ্কাতেই ভুগছে শ্রমমন্ত্রক। ৪৪টি শ্রম কোডকে একত্রিত করে চারটি শ্রম কোডে পরিণত করেছে কেন্দ্র। প্রতিটি সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঐকমত্য না হওয়ায় আইন হিসেবে কার্যকর করা যাচ্ছে না।
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, গত ১ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী চারটি শ্রম কোডকে আইন হিসেবে কার্যকর করা হবে। তা পূরণ করা যায়নি। পরবর্তীতে ১ জুলাইয়ের ডেডলাইন নির্দিষ্ট করা হয়। সেক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র। তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গোওয়ার জানিয়েছিলেন, সরকার ১ অক্টোবরকে মাথায় রেখেই এগচ্ছে। শুক্রবার শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১ অক্টোবর থেকে শ্রম কোড আইন কার্যকরের সম্ভাবনা কম। প্রয়োজনে এই সংক্রান্ত ডেডলাইন আরও কয়েকমাস বৃদ্ধি করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের শ্রম কোড আইন নিয়ে বারবার কেন্দ্রের বাধার সম্মুখীন হওয়া সরকারের জন্য যথেষ্টই অস্বস্তির বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানত শ্রম কোড ইস্যুতে নাজেহাল হওয়ার কারণেই সরতে হয়েছে আগের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গোওয়ারকে। নতুন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী হয়েছেন ভূপেন্দ্র যাদব। শ্রম কোড আইনের বাস্তবায়ন ঘটানো নতুন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এদিন এই ব্যাপারে ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার গায়ের জোরে শ্রম কোড আইন দেশ জুড়ে কার্যকর করতে চাইছে। তাই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র ভুলে গিয়েছে, বহু রাজ্যই বিজেপি বিরোধী। এক্ষেত্রে আলোচনাই একমাত্র পথ। কিন্তু মোদি সরকার যেমন এই ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক আলোচনাকেও সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি, তেমনই জাতীয় শ্রম সম্মেলনও ডাকতে চাইছে না।’