এবারের সংসদের বাদল অধিবেশন মিটে যেতেই ত্রিপুরায় চার জনের সংসদীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার আগরতলায় যাচ্ছেন দলের চার সাংসদ – বারাসতের কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়নগরের প্রতিমা মণ্ডল ও রাজ্যসভার সদস্য আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং অর্পিতা ঘোষ। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিংহ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। সংসদীয় ওই দলের সঙ্গে যেতে পারেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১৬ই আগস্ট পর্যন্ত ওই সাংসদদের ত্রিপুরায় থাকতে বলা হয়েছে। ওই রাজ্যে প্রথমে স্বাধীনতা দিবস ও পরদিন ১৬ই আগস্ট খেলা হবে দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কোনও সমস্যা হলে দ্রুত কলকাতায় জানাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২১শে জুলাই শহীদ দিবসের দিন নিজের ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে ১৬ আগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো পশ্চিমবঙ্গে সরকারিভাবে খেলা হবে দিবস পালন করা হচ্ছে। দলনেত্রীর এমন নির্দেশ পাওয়ার পরেই ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালনের কথা ঘোষণা করেছিলেন আশিস। তবে যেভাবে এর আগে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরে যুব নেতা সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও যুবনেত্রী জয়া দত্তর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে ত্রিপুরার মাটিতে দলীয় কর্মসূচী পালনে কর্মী-সমর্থকদের একা ছাড়তে চাইছেন না শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই সে রাজ্যের সহকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রথমে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলন করবেন দলের সাংসদরা। পরদিনই খেলা দিবস পালন হবে। ওইদিন ত্রিপুরার বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের হাতে ক্রীড়া সরঞ্জাম তুলে দেবেন তৃণমূলের সাংসদ ও মন্ত্রী।
আশিস জানিয়েছেন, “সাংসদরা আমাদের সঙ্গে থেকে দু’টি কর্মসূচীই পালন করবেন শুনে বুকে বল পাচ্ছি। কারণ, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ত্রিপুরায় এসে বিজেপি সরকারের মুখোশ খুলে দিয়ে যাওয়ার পর থেকেই কর্মীদের উপর সরকারি মদতে নির্মম আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। তাই সাংসদরা কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করলে আগামী দিনে ত্রিপুরার মাটিতে আরও ভাল সংগঠন করতে পারব।”