প্রতি বছর ১৪ই অগস্ট পালিত হয় কন্যাশ্রী দিবস। সেদিনই রাজ্য সরকার কলকাতায় কোচবিহার জেলা প্রশাসনের হাতে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ভাল কাজের পুরস্কার তুলে দেবে। কন্যাশ্রীতে ভাল কাজের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে কোচবিহার জেলা। আগামী ১৪ই অগস্ট রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতায় কোচবিহার জেলা প্রশাসনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে দ্রুততার সঙ্গে কাজ সম্পূর্ণ করা, নবীকরণ করা, কে ওয়ান এবং কে টু, এই দুই প্রকল্পে আবেদনের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ করা-সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেই এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভাল কাজের জন্য রাজ্যে সেরা জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম কোচবিহার জেলা ।’’
ছিটমহল বিনিময়ের ষষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে সাবেক ছিটে উড়ল জাতীয় পতাকা। কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের শুরু থেকেই কন্যাশ্রী প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জেলার বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে সময়মতো কন্যাশ্রীর ফর্ম পূরণ করানোর ব্যবস্থা করেন। কে ওয়ান এবং কে টু আবেদনকারীদের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ দ্রুত শেষ করা হয়।
প্রকল্পের পুরনো উপভোক্তাদের নবীকরণ করানো-সহ বিভিন্ন বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। আর এই কাজগুলো যাতে ঠিকমতো চলে সেই জন্য নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়। জেলা প্রশাসনের দাবি, আর এসব কারণেই রাজ্য সরকার কোচবিহার জেলাকে এই প্রকল্পে অন্যতম সেরা হিসাবে বেছে নিয়েছে। পাশাপাশি কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার ফলে কোচবিহার জেলায় স্কুলছুটের সংখ্যা অনেকটা কমেছে বলে শিক্ষকদের একাংশের অভিমত।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রকল্পের সূচনা করেন। মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে এই প্রকল্প চলে। ছাত্রীদের মাসিক ভাতা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে। অনেকে জায়গায় তৈরি হয়েছে কন্যাশ্রী ক্লাব। সেখানে ছাত্রীরা স্কুলছুটদের স্কুলে আনার ব্যবস্থা করছে।
এমনকি বাল্যবিবাহ ঠেকাতে ছাত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতি বছর ১৪ই অগস্ট কন্যাশ্রী দিবস হিসেবে পালিত হয়। সেখানেই প্রকল্পে ভাল কাজের জন্য বিভিন্ন জেলাকে পুরস্কৃত করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এবার সেই তালিকায় রয়েছে কোচবিহারও। চলতি বছরে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি ছিল এই জেলায়।