তাঁর অ্যাকাউন্ট লক করার অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগ করলেন তিনি। রাহুল গান্ধীর দাবি, দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে টুইটার। কেন্দ্রীয় সরকারের ইশারায় গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আঘাত হানছে সংস্থাটি।
শুক্রবার ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেলে ‘টুইটারস ডেঞ্জারাস গেম’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে কংগ্রেস সাংসদ অভিযোগ করেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সংসদে আমাদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। টুইটার আমাদের আশার আলো দেখাত। আমরা ভাবতাম, সেখানে কথা বলা যায়। তবে এখন এটা স্পষ্ট যে টুইটারও নিরপেক্ষ সংস্থা নয়। সেখানেও পক্ষপাত হচ্ছে। সরকারের কথা মত চলছে’। রাহুল গান্ধীর আরও অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট লক করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে টুইটার। তাঁর যে প্রায় ২০ মিলিয়ন ফলোয়ার্স রয়েছে, তাঁদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। গোটা প্রবণতাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা।
দিল্লিতে নির্যাতিতা দলিত কন্যা এবং তাঁর পরিবারের পরিচয় প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্ট লক করে টুইটার । রাহুলের বিরুদ্ধে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এরপর রাহুলের টুইট রিটুইট করার অভিযোগে লক করা হয় বেশ কয়েকজন শীর্ষ কংগ্রেস নেতার অ্যাকাউন্টও। এরপরই মাইক্রো ব্লগিং সাইটির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পরে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের সমর্থন করে অন্যান্য বিরোধী শক্তিরাও।