লক্ষ্য ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই জনসংযোগ বাড়াতে ত্রিপুরায় আজ শুক্রবার একযোগে হাজির থাকছেন ৯ সাংসদ ও বাংলার ১ মন্ত্রী। যাদের প্রধান কাজই হচ্ছে আগামী সোমবার খেলা হবে দিবস পালন করা। দলের শীর্ষ স্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। তাই ২১শে জুলাই পালনের মতো করেই ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালন করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুদের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট খোয়াই থানায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তার পরেই ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখছেন তাঁরা। যেদিন পা রাখছেন সেদিনই আবার ত্রিপুরা জুড়ে বিজেপির মিছিল। তৃণমূলের বিরোধীতা করে হবে সেই মিছিল।
ব্রাত্য বসু অবশ্য এদিন জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ভয় পেয়েছে। তাই আমাদের নেতা কর্মীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা তো সংগঠন তৈরি করতে যাচ্ছি। তাতে কেন ভয় পাচ্ছে বিজেপি? তাহলে ওঁরা বুঝে গিয়েছে ত্রিপুরার মানুষ আর ওঁদের পাশে নেই। এখানেও তো বিজেপির নেতারা এসেছিলেন সংগঠনের কাজে, ভোট প্রচারে। বাংলায় তো তাদের ওপর আক্রমণ হয়নি। তাহলে কেন ত্রিপুরায় এমন হচ্ছে?ত্রিপুরায় আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে। ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে জোট নয়। তবে কোনও বাম নেতা কর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে চাইলে স্বাগত।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ত্রিপুরাতে বিজেপির গুন্ডারাজ ও পুলিশ রাজ চলছে। মানুষের মহাজোট হচ্ছে ওখানে। ওরা ভয় পেয়েছে। যেনতেন প্রকারে আটকাতে চাইছে। গত কয়েকদিন রাতভোর পুলিশি সন্ত্রাস চালিয়েছে।গাড়ির চালককে অবধি তুলে নিয়েছে। মিথ্যা মামলা করেছে৷ জামিন প্রাপকদের গ্রেফতার করছে। হামলা-মামলা করে লাভ নেই। মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।’ কুণাল জানান, আজ সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, অপরুপা পোদ্দার, আবীররঞ্জন বিশ্বাস ও প্রতিমা মণ্ডল, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, আবু তাহের, প্রসূন বন্দোপাধ্যায়রা যাবেন ত্রিপুরায়।