২০০২ সালে ভারতীয় ক্রিকেটের সাজঘরে ব্যাট, বলের সঙ্গে ঢুকে ছিল ল্যাপটপ। অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। প্রশ্ন ছিল, – “ল্যাপটপ কী করবে সাজঘরে?” ক্রিকেটে প্রযুক্তির ব্যবহার এখন খুব প্রচলিত হলেও সেই সময় অবাক করে দিয়েছিল সচিনকে। অবসরের আট বছর পরেও টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানের মালিক যিনি, সেই সচিন তখন বুঝতেই পারেননি ক্রিকেটে কী বদল আনতে পারে ল্যাপটপ।
এখনকার ক্রিকেটে প্রতিটি বলের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে সাজঘরে। প্রযুক্তির সাহায্যে একজন ক্রিকেটার এখন আরও বেশি দক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ পান। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সচিন বলেন, – “প্রযুক্তি সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। ২০০২ সালে একটা ল্যাপটপ নিয়ে আসা হয়েছিল সাজঘরে। আমি বলেছিলাম, ‘ল্যাপটপ কী করবে সাজঘরে?”
রিভিউ সিস্টেম আসার পর প্রযুক্তির প্রভাব ক্রিকেটে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। টি২০-র মতো ছোট সংস্করণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যেও প্রযুক্তি জরুরি বলেই মনে করেন ক্রিকেটাররা। সচিনের মতে প্রযুক্তি পাল্টে দিয়েছে ক্রিকেটকে। তিনি বলেন, “সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে প্রযুক্তি এসেছে ক্রিকেটে। ঢুকে পড়েছে সাজঘরে। বেড়েছে তার ব্যবহারও। দলের বৈঠক এখন অনেক সহজ হয়েছে। আগে হয়তো কেউ বলল, ‘মনে আছে তো মেলবোর্নে কী ভাবে আউট করেছিলাম?’ বোঝা যেত না আদৌ সবার সেই আউটের কথা মনে পড়ল কি না। এখন সহজেই তা দেখিয়ে দেওয়া যাচ্ছে।”