ক্রিকেটকে মহান অনিশ্চয়তার খেলা বলে, জানি। কিন্তু তার পরেও বলছি, নটিংহ্যাম টেস্ট জেতার সোনার সুযোগ ভারতের হাতছাড়া হয়ে গেল। শেষ দিনে জিততে মাত্র ১৫৭ রান দরকার ছিল ভারতের। হাতে ন’টা উইকেট ছিল। যতই নটিংহ্যাম টেস্ট জুড়ে বোলাররা রাজত্ব চালিয়ে যাক, ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টটাই জেতার জায়গায় ছিল ভারত।
রেজাল্ট যা-ই হোক না কেন, ভারত কিন্তু নটিংহ্যাম টেস্টের দিকে পিছন ফিরে দেখলে প্রচণ্ড তৃপ্তি পাবে। দু’জনের পারফরম্যান্সের কথা আলাদা করে বলতে হবে। এক, কেএল রাহুল। দুই, জসপ্রীত বুমরাহ। রাহুল যেমন ব্যাটিং করেছে, বুমরা তেমন বোলিং। রাহুল দেখার মতো ব্যাটিং করেছে। অসম্ভব গুছনো ছিল, জানত নিজের অফস্টাম্পটা কোথায়?
এবার ইংল্যান্ডে আসি। ইংল্যান্ড ব্যাটিং এতটাই ভঙ্গুর যে, রান করার সিংহভাগ চাপটাই অধিনায়ক জো রুটের উপর এসে পড়ে। নটিংহ্যামে রুট খেললেও দারুণ। আর ঠিক সেই কারণেই মনে হয়, লর্ডসে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে টিমে ফিরিয়ে আনা উচিত। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে স্টিভ স্মিথ বনাম অশ্বিন যুদ্ধটা দেখার মতো হয়েছিল। অশ্বিনের স্কিল নিয়ে কোনও প্রশ্নই থাকার কথা নয়।
তা ছাড়া বিশ্বের সর্বত্র, সব রকম পরিবেশে সফল হয়েছে অশ্বিন। অশ্বিন খেললে ভারতীয় আক্রমণের বৈচিত্রটাই পালটে যায়। ইংল্যান্ডের যে কোনও ব্যাটসম্যানকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। জিজ্ঞাসা করুন, অশ্বিন না শার্দূল ঠাকুর, কাকে ওরা খেলতে অপছন্দ করবে? উত্তরটা কী হবে, সবাই জানে। এটা মনে রাখা দরকার, ওরা ছোট থেকে পেস আর সুইং বোলিং খেলে বড় হয়। স্পিন খেলে নয়। লর্ডস যুদ্ধ জিততে গেলে তাই লাগবে অশ্বিনকে।
বল ছাড়ার ক্ষেত্রে অসীম ধৈর্য দেখিয়েছে। সঙ্গে যে ডেলিভারিগুলোকে শাসন করা প্রয়োজন ছিল, করেছে। বুমরাহয় আসি এবার। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটা ভাল যায়নি বুমরার। কিন্তু নটিংহ্যাম টেস্টে বুঝিয়ে দিয়েছে, কেন ক্রিকেটের তিনটে ফর্ম্যাটেই ও শ্রেষ্ঠ। আসলে কী জানেন, বুমরাহ নিজের মানটাকে এত উঁচুতে নিয়ে গিয়েছে যে, ওর উপর প্রত্যাশাটা প্রচুর।
