যুব তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। আর তাঁদের ছাড়াতে গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের প্রথমসারির নেতা ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষরা। থানায় বসে পুলিশ অফিসারকে বলেছিলেন অভিষেক, আপনার উর্দিতে অশোকস্তম্ভ আছে পদ্মফুল নয়। সেখানে দেখতে চেয়েছিলেন নথি। সোচ্চার হয়েছিলেন। এবার তার প্রেক্ষিতেই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হলো। সেখানে এই চারজনেরই নাম রয়েছে। খোয়াই থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মামলাটি করেছেন খোয়াই থানার অফিসার ইনচার্জ মনোরঞ্জন দেববর্মা। এই এফআইআরে অভিযুক্ত করা হয়েছে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক এবং প্রকাশ দাসকে। অভিযোগ, রবিবার থানায় বসে পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন তাঁরা। এমনকী জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের আদালতে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছেন তাঁরা বলেও অভিযোগ। এই ছয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এই এফআইআরের বিষয়ে কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, ‘বিজেপির নির্দেশে পুলিশ এই অভিযোগ করেছে। ভয়ে পেয়ে মামলা করেছে বিজেপি। আমরা কোনও কাজে বাধা দিইনি। আমরা আইনি পথেই লড়ব। আরও দশগুণ শক্তি নিয়ে ত্রিপুরায় যাব।’ তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, অভিযোগ থাকলে রবিবার আদালতে কেন বলেনি পুলিশ? এতদিন পর কেন মামলা দায়ের?
উল্লেখ্য, শনিবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব নেতা সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন তাঁরা। গ্রেফতার করা হয় তিন যুব নেতা–সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা–কর্মীকে। তখন রাতারাতি ত্রিপুরা উড়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সহকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে খোয়াই থানাতে ঠায় বসেছিলেন। শেষে ত্রিপুরা আদালতে জামিন পান ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।