লাগাতার দাম বেড়েই চলেছে কাঁচামালের। অথচ পণ্যের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না। এ নিয়েই হতাশা প্রকাশ করেছে ইউনিলিভার পিএলসি থেকে টাটা মোটর্সের মতো কোম্পানি। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে দ্রুত উৎসাহদান প্রকল্প ঘোষণা করতে হবে। না হলে প্রভাব পড়বে শেয়ার বাজারে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, অতিমারীর ফলে বাজারে চাহিদা কম। সেজন্য বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের দাম বাড়াতে পারছে না। কিন্তু দাম বাড়বে শীঘ্রই।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অতিমারীর মধ্যে অনেকেরই উপার্জন কমেছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে অনেক জিনিসের। তাই সহজে কিছু কেনাকাটা করতে চাইছেন না ভারতীয়রা। জুলাই মাসে দেশে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা ব্যাপক কমেছে। শনিবার এমনই জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ক্রেতাদের মনোভাব সম্পর্কে জানার জন্য ১৩ টি বড় শহরে ৫৩৮৪ জনের ওপরে সমীক্ষা করেছিল আরবিআই। যে সূচক দিয়ে ক্রেতাদের মনোভাবের পরিমাপ করা হয়, তার নাম কারেন্ট সিচুয়েশন ইনডেক্স (সিএসআই)। এই সূচক ১০০-র নীচে থাকা মানে ক্রেতারা আশাবাদী নন। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জুলাই মাসে সিএসআই ছিল ৪৮.৬। মে মাসে ওই সূচক ছিল ৪৮.৫ এর ঘরে।
আরবিআই এ-ও জানিয়েছে, আগামী দিনেও বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ ক্রেতারা মনে করছেন, ২০২২ সালেও অর্থনীতি সংকুচিত হবে। তাই তাঁরা মূলত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার ওপরেই জোর দিচ্ছেন। তার বাইরে বিশেষ কিছু কিনছেন না। বেশিরভাগ ক্রেতা মনে করছেন, আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে। সেজন্য তাঁরা যথাসম্ভব বেশি অর্থ এখন জমিয়ে রাখছেন। এদিকে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য সুদের হার যথাসম্ভব কম রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রেপো রেট আগের মতোই থাকছে ৪ শতাংশ। রিভার্স রেপো রেটও আগের মতোই থাকছে ৩.৩৫ শতাংশ।