ত্রিপুরায় তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে৷ এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, সরকারি কাজে বাধা দিলে কেন ঘটনার দিনই আদালতে সেই অভিযোগ জানালো না পুলিশ?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে৷ অভিষেক ছাড়াও ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে৷ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মূলত সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে পুলিশ৷ খোয়াই থানার অফিসার ইন চার্জ মনোরঞ্জন দেববর্মা এই মামলা করেছেন৷ পুলিশের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা থানায় গিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার কারণেই সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের মতো ধৃত তৃণমূল নেতাদের আদালতে পেশ করতে দেরি হয়েছে৷
পুলিশের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে কুণাল ঘোষের পাল্টা প্রশ্ন, ‘পুলিশ যা বলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ আমরা যদি কাজে বাধা দিয়ে থাকি তাহলে সেদিনই কেন সরকারি কৌঁসুলির মাধ্যমে আদালতে সেই অভিযোগ পুলিশ কেন জানালো না? আমরা তো সেদিন পুলিশের সঙ্গেই বাকিদের সঙ্গে আদালতে গেলাম৷ শান্তিপূর্ণ ভাবে থানা থেকে বেরিয়ে আমরা আদালতে গিয়েছি, সেই ভিডিও রয়েছে৷ এখন ৪৮ ঘণ্টা পর হঠাৎ পুলিশের মনে হল আমরা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছি?’
কুণালের পাল্টা অভিযোগ, তাঁরা পুলিশকে শুধু অনুরোধ করেছিলেন যাতে ধৃত তৃণমূল নেতাদের জামিনের সওয়াল করার জন্য আইনজীবীদের আসার সময় দেওয়া হয়৷ ক্ষুব্ধ কুণাল বলেন, ‘আইনজীবীদের আসার সময় দেওয়া দূরে থাক, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করে আদালতে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ আদালত চত্বরের মধ্যে কীভাবে আইনজীবীর গাড়ি ভাঙচুর হয়৷ তখন পুলিশ কী করছিল? কলকাতা থেকে আইনজীবী সঞ্জয় বিশ্বাস এসেছিলেন আমাদের দলের নেতাদের জামিনের সওয়াল করতে৷ তাঁর গাড়ি এমন ভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে যে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন৷’
কুণাল এ দিন পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, যে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল নেতাদের উপরে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাদের কেন গ্রেফতার করা হল না৷ কুণাল বলেন, ‘মহামারি আইন কি শুধু তৃণমূলের জন্য প্রযোজ্য? আমরা তো ছবি দেখিয়ে বলেছি কারা হামলা চালিয়েছে, তার পরেও কেন সেই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হল না?’ তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, ‘এটা পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত নয়, বিজেপি প্রণোদিত মামলা৷’