বিরোধী ঐক্যের বীজ পুতে দিয়ে এসেছেন মমতা। সেই পথেই এবার হাঁটতে শুরু করেছে একাধিক অবিজেপি দল। দিল্লীতে হঠাৎ করে কয়েকটি অবিজেপি জলের একসঙ্গে নৈশভোজ সারা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে নতুন করে। সূ্ত্রের খবর গতকাল রাতে দিল্লীর ৪ নম্বর তিনমূর্তি লেনে একজোট হয়েছিলেন একাধিক বিজেপি দল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই বাড়িটিতেই থাকলেন সিপিএম নেতা হরকিষণ সিং সুরজিত। সেই বাড়িতেই একাধিক অবিজেপি দল বৈঠক সারেন। বিজেপির সঙ্গে লড়তে হলে সব অবিজেপি দলকে একজোট হতে হবে। এই নিয়ে প্রথম তৎপর হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছে একাধিক অবিজেপি দল।
গতকাল দিল্লীতে একদফায় বিরোধী একাধিক দলের বৈঠক হয়েছে। দিল্লীর তিনমূর্তি লেনের একটি বাড়িতে বৈঠক করেছেন এনসিপি, আরজেটি, বিজেপি, টিডিপি, বিজেডি সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। নৈশভোজের আছিলায় যেখানে যে ২০২৪-র রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এই সময় বাদল অধিবেশন চলছে দিল্লীতে। কাজেই সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই উপস্থিত রয়েছেন। সেই সুবর্ণ সুযোগকে কেউ হাতছাড়া করতে চাইছেন না। অগাস্টেই তাপমাত্রা চড়বে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তীব্র দহন নিয়ে সাগর থেকে ধেয়ে আসছে তাপপ্রবাহ অগাস্টেই তাপমাত্রা চড়বে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তীব্র দহন নিয়ে সাগর থেকে ধেয়ে আসছে তাপপ্রবাহ।
সূত্রের খবর সেই বৈঠকে একাধিক অবিজেপি দলের নেতারা ছিলেন। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার থেকে শুরু করে আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব, এনসি নেতা ওমর আবদুল্লা, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ওব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, বিজেডির পিনাকি মিশ্র, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত।
অকালি দলের নরেশ গুজরাল সহ টিডিপি এবং ওয়াইএসআরকংগ্রেসের প্রতিধির নাম ছিল আমন্ত্রিতের তালিকায়। এই তালিকাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কারণ ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বিজেডির মতো রাজনৈতিক দল গুলি বিরোধী জোটে আগে সামিল হয়নি। হঠাৎ করে তারাো সামিল হতে শুরু করায় জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
২০২৪-র ভোটের আগে বিজেপির বড় পরীক্ষা উত্তর প্রদেশে। সেখান এক প্রকার অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে গেরায় শিবিরের। আর এই উত্তর প্রদেশ ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে মোদী শাহদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে বিরোধীরা। সেকারণেই গ্রুপ অব ২৩ দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশে একজোটে লড়ে অখিলেশকে জেতানো।
কারণ এখনও উত্তর প্রদেশে জেতার অবস্থায় নেই কংগ্রেস। সেকারণে এই নিয়ে ভাগাভাগি করবে বিজেপির লাভ বেশি হবে তার থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করলে বিজেপিকে হারানো সহজ হবে বলে মনে করছেন তারা।
মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শিরোমনি অকালিদলের নেত্রী হরসিমরত কউর। তারপরেই পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলন চরম আকার নেয়। গোটা দেশে তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে এখন বিএসপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়ছে স্যাড। কাজেই জোট নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে বিজেপি। এদিকে আবার ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সঙ্গেও বিজেপির বিরোধ তৈরি হয়েছে। একে এতে বিজেপি মনস্ক দলগুিলও মোদী-শাহের হাত ছাড়তে শুরু করেছে।