গত কয়েকদিনে একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন দলের কর্মীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে নেতা-কর্মীদের। তবুও জমি ছাড়তে রাজি নয় ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব। বাংলার পাশাপাশি তাই ত্রিপুরাতেও ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করতে উদ্যোগী তারা। আসল লক্ষ্য জনসংযোগ। আসল লক্ষ্য মানুষের কাছে পৌঁছনো। তাই খেলার মতো বিষয়কে সামনে রেখেই এগোতে চায় তারা।
খেলা হবে দিবস এবার পালন হবে বাংলার বাইরেও। বাংলার পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতেও খেলা হবে দিবস পালন করবেন সেখানকার তৃণমূল সমর্থক-কর্মীরা। বাংলার জয়ী ফুটবল নিয়েই ত্রিপুরার মাঠে নামতে চান সেখানকার রাজনীতিবিদরা। ইতিমধ্যেই, ত্রিপুরার জন্যে বাংলা থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে ফুটবল। চেয়ে পাঠানো হয়েছে টি-শার্ট। যুব ও ছাত্র সমাজের কাছে তা নিয়েই পৌঁছতে চায় তারা। ২১ এর বাংলার বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ট্যাগলাইন ছিল ‘খেলা হবে’। এই স্লোগানকে ঘিরে তৈরি হয়ে গিয়েছে গান। বাংলার পাশাপাশি, এবার ত্রিপুরাতেও শুরু হয়েছে ‘খেলা হবে’ গান। এই স্লোগান এখন ভারতীয় রাজনীতির জনপ্রিয় স্লোগান হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৬ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী এই স্লোগানকে সামনে রেখেই সরকারি ভাবে খেলা হবে দিবস পালন করবে। প্রতি বছর ১৬ আগস্ট পালন হবে খেলা হবে দিবস।
এই বিশেষ দিনটি পরিচিত রাজ্যবাসীর কাছে ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসাবে৷ আর এই দিনেই জয়ী ফুটবল নিয়ে পালন হবে উৎসব। গ্রাম বাংলার মহিলাদের হাতে তৈরি ফুটবলেই খেলা হবে দিবস পালন করবে রাজ্য সরকার। বাংলার সেই ফুটবল এবার পৌছে যাবে ত্রিপুরার মাটিতেও। ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা আশিষ লাল সিং জানিয়েছেন, ‘খেলা তো আগামী দিনে এই রাজ্যেও হবে। তাই বাংলাতে যখন খেলা হবে দিবস পালন করবে আমাদের দলের নেতৃত্বাধীন সরকার। তখন আমরাও পিছিয়ে থাকব না। আমরা জনসংযোগের জন্যে এই দিবস পালন করব’।
আশিষবাবু আরও জানিয়েছেন, তাদের একটা প্রতিনিধি দল বাংলা থেকে জয়ী ফুটবল নিয়ে যাবেন ত্রিপুরাতে। আপাতত ঠিক হয়েছে ত্রিপুরার আট জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি থেকে দেওয়া হবে বাংলার মহিলাদের তৈরি জয়ী ফুটবল।বাংলার সরকারের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে গ্রাম বাংলার মহিলারা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই বানাচ্ছে এই ফুটবল।রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের অধীনস্থ ‘রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফটস’ এর সদস্যরা এই ফুটবল তৈরি করেন। এর ফলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান হয় তেমনি ক্রীড়া ক্ষেত্রের সুবিধাও হয়৷ বাংলার নিজস্ব জয়ী ফুটবলকেই এবার তাই তুলে নিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা তৃণমূল।