সংসদে বিরোধীদের আপত্তি এড়িয়ে, আলোচনা ছাড়াই জোরপূর্বক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর অভিযোগ বারবার উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। আজও তার অন্যথা হল না। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে রাজ্যসভায় পাশ করানো হল বিমা বিল। আর এই বিল জোর করে পাশ করাতে গুয়ে নজিরবিহীনভাবে রাজ্যসভায় মোতায়েন করা হয় মার্শাল। ৫০-এরও বেশি মার্শাল মোতায়েন করে বিরোধী কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়। এমনকী মহিলা সাংসদদের নিগ্রহ করে কিছু মার্শাল। আজকের এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে সংসদের ঐতিহ্য।
এদিন বিরোধীরা অভিযোগ জানায়, এক একটি বিল পাশ করতে ৭ মিনিটেরও কম সময় নেওয়া হয়েছে। ইনশিওরেন্স বিলের ক্ষেত্রে বিরোধীদের দাবি ছিল, এইরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিলকে পাশ করানোর আগে সিলেক্ট কমিটিতে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হোক। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বাম দল, ডিএমকে সহ অন্যান্যরাও বিলটিকে এর সংসদের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি করেছিল। কিন্তু সরকার এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে নড়েনি। স্বৈরাচারী কায়দায় আলোচনা এড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পরপর বিল পাশ করিয়ে নিচ্ছে মোদী সরকার।
প্রতিবাদে টুইটারে সরব হন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর অভিযোগ সাংসদদের বিক্ষোভ করা থেকে বিরত করতে অধিক সংখ্যায় মার্শাল মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকী পুরুষ সাংসদদের রুখতে মহিলা মার্শাল এবং মহিলাদের রুখতে পুরুষ মার্শাল মোতায়েন করা হয়েছে কক্ষে। রাজ্যসভায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে সমস্ত বিরোধী দল। সংসদ চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার বলেন, “আমার ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মহিলা সাংসদদের নিগ্রহের ঘটনা এই প্রথম ঘটল।” কোনোদিন তিনি এত মার্শাল মোতায়েনের সাক্ষী থাকেননি বলেও জানান শরদ পাওয়ার। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর প্রশ্ন, “মাননীয় উপরাষ্ট্রপতি মহিলাদের নিগ্রহের ঘটনাতেও অশ্রুপাত করবেন তো?”