আগেই ত্রিপুরা সফরে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরই মধ্যে ফের বিপ্লব রাজ্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীরা। ঝরেছে রক্তও। এ নিয়েই এবার মুখ খুলে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিশেষ বিমানে আনা হয়েছে কলকাতায়। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। সেখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মদনও। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরার বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলকে মারছে। কিন্তু তারা জানে না যে আমাদের চিকিৎসা করার মতো ব্যবস্থা বাংলায় আছে। কিন্তু ত্রিপুরার বিজেপি কর্মীদের চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামো নেই। তাঁদের চিকিৎসার জন্য বাংলাতেই আসতে হবে।’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘অবিলম্বে এইরকম ঘটনা বন্ধ নাহলে দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী তৈরি আছে। শুধু নির্দেশের অপেক্ষা।’
ত্রিপুরার বিজেপির কর্মীরা মার খেলে তাঁদের কোন ব্যাকআপ নেই, কিন্তু বাংলার ছেলেদের আছে। এ কতজা উল্লেখ মদন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদান্যতায় আমাদের ছেলেরা মার খেলে তার কিন্তু ব্যাকআপ আছে, পিজি হসপিটাল। কিন্তু ত্রিপুরার মারের কোন ব্যাকআপ নেই যেতে হবে মায়ানমার।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি যুবকের মনে এটাই হচ্ছে, বিপ্লব স্পন্দিত বুকে, মনে হয় আমি ত্রিপুরা। চলো ত্রিপুরা চলো। আর ত্রিপুরা জিতবে’। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ত্রিপুরার ঘটনাকে নাটক বলায় তাঁকে কটাক্ষ করে মদন বলেন, ‘দিলীপবাবু ঠিকই বলেছেন। আমরা তো বাচ্চা ছেলে মেয়েদের পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওঁরা তো নাড্ডা থেকে শুরু করে, কৈলাস, অমিত এমনকি মোদী পর্যন্ত বড় বড় প্লেয়ার নামিয়েছিল নাটক করার জন্য। তাঁদের নাটক সাকসেস হয়নি, আর আমাদের দুটো তিনটে বাচ্চাদের নাটকেই, ত্রিপুরার ফোর্সকে রাস্তায় নামতে হল। তাহলে বড় নাট্যকাররা গেলে, কি করবেন!’