আবহাওয়ার আপডেট হিসেবে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা পাটনা থেকে উত্তরবঙ্গ সিকিম হয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। পার্বত্য এলাকায় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। এর পাশাপাশি বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় কতটা বৃষ্টিপাত হবে তা জানাতে গিয়ে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ আগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলায়।
বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা (২০০ মিলিলিটার পর্যন্ত) রয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের পাশাপাশি হলুদ সর্তকতা (১০০ মিলিলিটার পর্যন্ত) থাকছে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায়।
বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। হলুদ সর্তকতা মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং দুই ২৪ পরগনায়।
শুক্রবারও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় সতর্কতা জারি করা রয়েছে। ধসের আশঙ্কাও করা হয়েছে। মালদার পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হলুদ সর্তকতা জারি থাকছে। আগামী ১৪ ও ১৫ আগস্ট দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টির সর্তকতা থাকছে। হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে।
তবে বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও অতিবৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আলিপুরের হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ৩৩.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। সুতরাং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।