ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা সবসময় চরমে। প্রতিবছর বর্ষা এলেই এই প্রসঙ্গ সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রণব মুখার্জী-র আমলে এই প্ল্যান অনুমোদন ও মেদিনীপুরের নিম্ন অংশে কিছু কাজ হলেও বাকি রয়েছে অনেক কাজ। সাংসদ হিসেবে দেব বারবারে এই মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সরব হয়েছেন কিন্তু কানে তুলো গুঁজে বসে থাকা কেন্দ্র চুপ থেকেছে।
রাজ্যের উদ্যোগে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেলেঘাই ও কপালেশ্বরী নদীর উপর কাজ হলেও বাকি রয়েছে শিলাবতী, কংসাবতী ও ঝুমি নদীর কাজ। যার জন্য অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে বারবার ভাসে ঘাটাল, এবছর যা চরমে। এদিন ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন।
এখানে যে যে ব্রিজগুলো রয়েছে, তা খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বন্যা পরিস্থিতি মেকাবিলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই লড়াই করছি। দিল্লীতে গিয়ে প্রচুর বৈঠকও করেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। কেন্দ্র রাজ্য দ্বন্দ্বের জন্যই এই কাজ আটকে রয়েছে। আমার এখনও মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে ঘাটালের মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন।’ গত সপ্তাহে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েও এই একই মন্তব্য করেন অভিনেতা-সাংসদ।
এদিন ঘাটাল সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন সাংসদ দেব। তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘প্রতিবছর বন্যা হয়ে যাওয়ার পর ক্ষতির জন্য টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু এই টাকাটা যদি আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হত। তাহলে হয়ত এই তাণ্ডবটা আটকানো যেতে পারত। বন্যাতে এত ক্ষতির মুখ দেখতে হত না। ঘাটালের মানুষদের যন্ত্রণার সাক্ষী থাকতে হত না।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘাটালে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দিল্লীতে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবে একটি প্রতিনিধি দল। রাজ্যের দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়া, সাংসদ দেব, ও বিধায়কদের টিম যাবে।