একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৩ সালে। আর সেই ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেই বাংলার একাধিক নেতা-নেত্রীকে ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি এবং প্রসারের দায়িত্ব দিয়েছে দল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এছাড়াও রয়েছে দলের তরুণ ব্রিগেডের সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। এঁদেরকে দিয়েই আপাতত ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে লড়াই করতে চায় তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিনধরেই রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের একটা বড় অংশের কাছে নাটক, অভিনয়ের জন্যে পরিচিত ব্রাত্য বসু। ২০১১ থেকে মন্ত্রী হিসাবেও তার রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ত্রিপুরার জনতা। গত কয়েকদিনে একাধিকবার ত্রিপুরায় গিয়ে তিনি যেভাবে রাজনৈতিক লড়াই দিয়েছেন, ব্যাখ্যা করেছেন তাদের অবস্থান, তাতে তৃণমূল মনে করছে এই সুবক্তা ২০২৩ এ ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে অন্যতম অস্ত্র। রাজ্যের আরেক মন্ত্রী মলয় ঘটকের ওপরেও আস্থা রেখেছে দল। ইতিমধ্যেই আইপ্যাকের সদস্যদের আটকে রাখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা যারা তৃণমূলে যোগ দিতে চায় তাঁদের সাথে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহেই কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় উড়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ কুণাল ঘোষও প্রতিদিন একাধিক ইস্যুতে কড়া আক্রমণ শানাচ্ছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ ত্রিপুরাকে চেনেন হাতের তালুর মতো। সাংবাদিক হিসেবে একাধিকবার তিনি গিয়েছেন ওই রাজ্যে। প্রতিদিন সে রাজ্যে বিজেপির হাঁড়ির খবর তিনি যেভাবে বার করছেন তাতে দল তাঁকে ত্রিপুরায় নানা ভাবে ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যেই তিনি এসে দেখা করে ফেলেছেন বামেদের প্রাক্তন সাংসদের সাথে। চা খেয়ে এসেছেন মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যর সাথে। অনেকেই বলছেন আগামী দিনে ত্রিপুরায় মহাজোট হলে, মালা গাঁথার কাজ করবেন কুণালই। এদিকে, ত্রিপুরাতে গিয়ে দলের মহিলা ও যুব সংগঠনের বিস্তারে নজর দিয়েছেন জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় সুদীপদের আন্দোলন ও মাথা ফাটা এখন রাজ্যের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।