রবিবার ত্রিপুরার আদালত থেকে জামিন পেয়ে রাতেই বিশেষ বিমানে আগরতলা থেকে কলকাতা ফেরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাও অভিষেকের সঙ্গেই কলকাতায় ফেরেন। শহরে ফিরেই আহত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে।
১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে সুদীপ রাহাকে, জয়া রয়েছেন ২০৩ নম্বর ঘরে। সূত্রের খবর, এমআরআই করা হবে সুদীপের। এরপরই সোমবার ঝাড়গ্রাম যাওয়ার আগে এসএসকেএমে জখম নেতা-নেত্রীদের দেখতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। খোঁজ নেন জয়া ও সুদীপের শারীরিক পরিস্থিতির। ফোনে কথা বলেন দেবাংশু ভট্টাচার্যের সঙ্গে।
তারপরেই হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুদীপ, জয়া ও দেবাংশুদের উপর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিসের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে মেরেছে। মারার পর ৩৬ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা হয়নি, কাউকে এক গ্লাস জল দেয়নি। ওরাই মেরেছে ওরাই গ্রেফতার করেছে। বিজেপি দানবীয় দল। ছাত্রের উপর হামলায় পড়ুয়াদের গর্জে ওঠা উচিত।’