রাজ্যের কোন প্রান্ত থেকেই আসছে না কোনো ভোট পরবর্তী হিংসার খবর। এখন বাংলার সর্বত্র কার্যত শান্তি বিরাজ করছে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অন্তত এমনটাই পর্যবেক্ষণ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত সামান্য ঘটনা ঘটলে তার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারে। এক্ষেত্রে পুলিসি অভিযোগ না হলেও কমিশন নিজস্ব এক্তিয়ারে ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, গত একমাস ধরে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এই ধরনের একটিও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেনি। যা কমিশনের ইতিহাসে বেনজির বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কমিশনের এক কর্তার দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে প্রতিদিন বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে একাধিক স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হতো। সূত্রের দাবি, জুলাই মাসের মাঝামাঝি শেষবারের মতো এই ধরনের মামলা দায়ের হয়েছিল। তারপর আর হয়নি।
বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান গিরিশচন্দ্র গুপ্ত। তাঁর কথায়, দু’সপ্তাহের বেশি অতিক্রান্ত হলেও আমরা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার মতো ঘটনা পাইনি। এত দীর্ঘসময় ধরে এই ঘটনা তিনি নিজেও দেখেননি বলে জানান কমিশন প্রধান। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলেন, এ নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে সুনির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের হলে অভিযোগকারী সুবিচার না পেলে কমিশনের দ্বারস্থ হলে আমরা হস্তক্ষেপ করি। এটা রুটিন বিষয়। তবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার ক্ষেত্রে কমিশন মূলত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত ঘটনার গুরুত্ব দেখে তা দায়ের করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন আমাদের চোখে এই ধরনের কোনও খবর ধরা পড়েনি। তাই কমিশন নিজে থেকে পদক্ষেপ করেনি।